মির্জা ফখরুলের জামিন স্থগিতের শুনানি ২৫ জুন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২২:৫৯,অপরাহ্ন ২২ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নাশকতার অভিযোগ এনে পল্টন ও মতিঝিল থানায় পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ ফখরুলের জামিন আবেদন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর আজ শুনানী শেষে আগামী ২৫ জুন আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ পরবর্তি শুনানী হবে মর্মে সোমবার আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আজ চেম্বার আদালতে ফরুলের পক্ষে শুনানী করে সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
এসময় আদালতে উপস্থি ছিলেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যরিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
এ মামলাগুলোতে পুলিশের অভিযোগপত্র দাখিল না করা পর্যন্ত ফখরুলের জামিনের মেয়াদ থাকবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর আগে গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ফখরুলকে এ তিন মামলায় জামিন দেয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল রোববার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদনগুলো দাখিল করেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন এলাকায় হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপির পিকেটাররা। এজন্য ফখরুল ইসলামসহ ২৪ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন পল্টন থানার
পুলিশ।
এছাড়াও নাশকতার কাজে উস্কানি, প্ররোচণা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন এলাকায় হরতালের মাঝে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি মতিঝিল ও পল্টন থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি একই অভিযোগ এনে পল্টন থানায় অপর দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। কোন কোন গ্রাউন্ডে ফখরুলকে জামিন দেয়া হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘আমরা আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছি, আদালত এটি বিবেচনা করে তাকে জামিন দিয়েছেন।’