ভূমিকম্পের আগাম সর্তকতা জানাবে দেশীয় যন্ত্র
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৬:২৪,অপরাহ্ন ১৭ জুন ২০১৫
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক :: সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবী নাড়িয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প। নেপালে গত ২৫ এপ্রিল ভূমিকম্পে হতাহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ভূমিকম্প নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিস্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কি করে এর উৎপত্তি ও বিস্তার হয় তা নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নীরিক্ষা। এই কাজে থেমে নেই দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) একদল শিক্ষার্থী এমন একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন যেটি ভূমিকম্পের আগাম সংকেত দেবে । ৪০ সেকেন্ড আগে জানিয়ে দেবে ভূমিকম্পের খবর।
এই যন্ত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আইসিটি এক্সপোর ইনোভেশন সেন্টারে। মেলা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবিত প্রকল্প এখানে প্রদর্শন করছেন।
এআইইউবি‘র শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম ‘আর্থকুইক মনিটরিং অ্যান্ড ওয়েভ সিস্টেম‘। চার জনের একটি দল এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন। এরা সবাই ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রোনিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী। একাজে তাদের বিভাগীয় শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন।
দলের অন্যতম সদস্য আকতার জানান, বর্তমানে মানুষ ভূমিকম্প আতঙ্কে ভূগছেন। কখন, কোন সময় ভূমিকম্প আঘাত হানবে সেটা নিয়ে সবার মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কাজ করবে আর্থকুইক মনিটরিং অ্যান্ড ওয়েভ সিস্টেম যন্ত্রটি। এটি ৪০ সেকেন্ড আগে জানিয়ে দেবে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।
আকতার জানান, প্রতিটি ভূমিকম্প আঘাত হানার আগে একটি মৃদু ঝাঁকুনি দেয়। এরপর বড় আকারের ঝাঁকুনি আসে। এই যন্ত্রটি মৃদু ঝাঁকুনি নিরুপন করে সংকেত জানিয়ে দেবে। এতে করে আগে ভাগেই ভূমিকম্পের খবর জেনে গিয়ে সতর্ক হওয়া যাবে। ফলে নিরাপদ স্থান খুঁজে নেয়া যাবে। কিংবা বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
যন্ত্রটি তৈরি করতে বেশ কিছু সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ওয়েভ পরিমাপের জন্য একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তৈরিতে শিক্ষার্থীদের খরচ লেগেছে ৩২ হাজার টাকা। যন্ত্রটিকে আরও কার্যকরী করার জন্য তারা আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।