বড়লেখায় ওটি রুমে রোগী রেখেই লাপাত্তা ডাক্তার!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৭:৩৯,অপরাহ্ন ১৭ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের এক রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় অপারেশন থিয়েটার (ওটি) রুমে রেখেই গাইনি কনসালটেন্ট প্রায় ৩ ঘণ্টা হাসপাতাল থেকে উদাও হয়ে যান। রোগীর স্বজনসহ উপস্থিত অন্যান্য রোগীদের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক সরকারি ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত ছিলেন তখন। এমন চরম দায়িত্বহীনতার ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার সকালে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের জিলাল আহমদের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সুলতানা বেগমের প্রসব ব্যাথা ওঠে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি নেয়ার পর সকাল সাড়ে ১১টায় হঠাৎ গাইনি কনসালটেন্ট ডা: আহমদ হোসেন হাসপাতাল থেকে উদাও হয়ে যান।
প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দেয়ার পাশাপাশি চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গাইনি চিকিৎসক ডা: আহমদ হোসেন ফোন বন্ধ করে সরকারি ডিউটি ফাঁকি দিয়ে মুমূর্ষু রোগীকে ফেলে রেখে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখায় ব্যস্ত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গাইনি চিকিৎসক ডা: আহমদ হোসেনের মোবাইল ফোনে শুক্রবার বিকেলে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রোগী ২দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সকালে আমি নিজেই অপারশনের সিদ্ধান্ত নেই। আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কমল রতন সাহা জানান, সিজার অপারেশনের সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও গাইনি চিকিৎসক ডা: আহমদ হোসেন হাসপাতাল থেকে হঠাৎ উদাও হওয়ায় তাকে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ ঘটনার দায়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।