ব্লু সামুরাই তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৭:৫৩,অপরাহ্ন ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪
স্পোর্টস ডেস্ক:: সকালের সূর্য দেখে পুরো বেলা হিসেবের দিন শেষ! এখন ঘটমান বর্তমানের উপর চলছে পৃথিবী। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ বাংলাদেশ-জাপান ম্যাচটি। প্রথমার্ধের ১৫ মিনিট পর্যন্ত জাপানের কোন আক্রমণ ছিল না উল্লেখ করার মতো। বলা চলে অনেকটা রক্ষণাত্বক নীতি বজায় রেখেই খেলেছে ব্লু সামুরাই খ্যাত জাপান। প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্রয়ের পরে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের জাত চিনাতে ভুল করেনি জাপান। দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ থেকে ৭৫ এই ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের জালে তিনবার বল পাঠিয়ে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ জাপান।
১৬ মিনিটে জাপানের মিডফিল্ডার সাইয়ের বাড়িয়ে দেয়া বলে শক্তিশালী শট করে তাকুমা, কিন্তু বাংলাদেশ গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী রাসেল মাহমুদ লিটন শটটি ঠেকিয়ে দেন। এরপর ১৯ মিনিটে আরো একবার দলকে রক্ষা করেন লিটন। জাপানি মিড ফিল্ডার তাকুমির শট ফিরিয়ে দেয় গোলরক্ষক লিটন।
২৬ মিনিটে আাবরো বিপদ ঘনিয়ে আসে বাংলাদেশের। জাপানি কুবো উয়া ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের ডি বক্সের ভিতরে। কিন্তু রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের তৎপরতায় বিপদ কাটে।
২৮ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় জাপান। কিন্তু ফাউলের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ৩০ মিনিটের মাথায় জাহিদ ও মামুনুলের দুটি আক্রমণ ভেস্তে যায়। জাহিদ বলের উপর তার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে আর মামুনুল ডান পায়ের শটটি ছিল খুবই দুর্বল। বা পায়েই যে যাদু আছে অধিনায়কের, তাই ডান পায়ের শটটি খুজে পায়নি জালের ঠিকানা।
৩৮ মিনিটে দলেকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচান ইয়ামিন মুন্না। জাপানের তাকুমার চোরা পাস ছিল তাকুমির উদ্দেশ্যে, কিন্তু তাকুমি বল নিয়ন্ত্রন নেয়ার আগেই ড্রাইভ দিয়ে বলটি বিপদ মুক্ত করেন মুন্না। ৪৮ মিনিটে আবোরো বাংলাদেশের গোল মুখে জটলা জাপানের। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি ব্লু সামুরাই খ্যাত দলটি।
৫৫ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন জাপান। ডি বক্সের ভিতবে বদলি খেলোয়াড় মাসাসির চোর পাস পেয়ে যায় সিয়া, কিন্তু উড়ন্ত বল কথা শোনেনি তার । সিয়ার পা ছুয়ে বলটি বলে যায় মাঠের বাইরে।
এরপর ১৫ মিনিটের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ শিবির। ৬০ মিনিটে জাপানি রিকির দেয়া বলে গোল করেন বদলী খেলোয়াড় আসানো তাকুমা। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর একরে পর এক আক্রমণে যায় জাপানিরা। বাংলাদেশ দলের একমাত্র কাজ হয় গোল ‘ঠেকানো’। কিন্তু কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছিলো না জাপানকে।
এরপর ৭২ মিনিটে প্রথম গোলেদাতা আসানো তাকুমা কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন মিনামিও তাকুমি। আর ৭৫ মিনিটে দলীয় তৃতীয় আর ব্যাক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন আসানো তাকুমা। ফলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় জাপান দলটি।
কিন্তু তখনও গোল ক্ষুধা মেটেনি ব্লু সামুরাইদের। কোন রক্ষনাত্ব নীতি না গ্রহণ করে প্রচন্ড আক্রমণ করতে থাকে জাপান। শেষ পর্যন্ত গোল না পেলেও আক্রমণ করেই যায় জাপান দলটি। নির্ধারিত সময় শেষে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাপান।