বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখছে বেসরকারি বিফাইনারি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৭:২২,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
দেশের জ্বালানী চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বেসরকারি রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম। দেশে বর্তমানে ৫৫ লাখ টন জ্বালানি চাহিদার বিপরিতে বিপিসি ১২ থেকে ১৪ লাখ টন উৎপাদন করতে সক্ষম জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে জ্বালানি ক্রয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায়। দেশে উৎপাদিত জ্বালানি ক্রয়ে তা সাশ্রয় হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে সরকার সহযোগিতা করবে।
সোমবার দুপুরে নগরীর নাসিরাবাদ এলাকায় সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারি লিমিটেড কারখানায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত ৭২ হাজার লিটার পেট্রোল সরবরাহ করে সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারি লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী পেট্রোলিয়াম সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৮টি ট্যাংকলরীতে ৯ হাজার লিটার করে মোট ৭২ হাজার লিটার পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করা হয়। যা ইষ্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড ল্যাবের অনুমোদিত এবং বি এস টি আই মানসম্পন্ন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দীন, সিভিওর চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামীম, সিভিওর উপদেষ্টা মাঈনদ্দীন খান বাদল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.শরীফ আশরাফুজ্জামান, বিপিসির মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক (মার্কেটিং) মো. আবু হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের জ্বালানী খাতে একমাত্র পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদনের পর গত বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে উৎপাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর নভেম্বরে বিপিসির সঙ্গে পেট্রোল সরবরাহে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বিপিসির আওতাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলকে পণ্য সরবরাহ শুরু করে।