বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় আ.লীগকে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:৫৯,অপরাহ্ন ২২ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
ভোটছাড়া বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় পে স্কেল ঘোষণায় সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
সোমবার বিকেলে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জাতীয় বীর আব্দুস কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ অতিতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জরুরী অবস্থা,বাকশাল কায়েম করেছিল কিন্তু টিকে থাকতে পারে নাই। তার গুম-খুন,মামলা দিয়ে টিকে থাকতে চায়। টিকে থাকতে পারবে না। ভোট ছাড়া এদেশের জনগণ প্রতিনিধি দেখতে চায় না।
আন্দোলনে নামলে চামড়া তুলে ও পা ভেংগে দেওয়া হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যর জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ, র্যাব ছেড়ে রাস্তায় আসুন কে কার পা ভাংবে জনগণ নির্বারন করবে। জনগণ আপনাদের সঠিক জবাব দেবে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুত্যুর পর বিএনপিকে ভাঙ্গার জন্য বারবার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। স্বৈরাচারী এরশাদ বিএনপিকে ভাঙ্গার করেছিল সফল হয়নি বরং তার পতন হয়েছে। তেমনি আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে তারাও সফল হবে না। বিএনপিকে এদেশের জনগণ ভালবেশে তিন বার ক্ষমতায় এনেছে।
বিএনপির এই মূখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের মানস কন্যা দাবি করেন। যে মানসকন্যা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। সত্য কথা বলার জন্য সম্পাদকদের জেলে নেয়। মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন করলে পুলিশ দিয়ে গুলি করে নিরহ মানুষ হত্যা করে। বিনা কারনে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে পুড়ে রাখে একেমন মানসকন্যা। এই মানস কন্যাকে জনগণ চায় না, বিশ^াস করে না।
জেলা সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, এঅবৈধ সরকার বেলকি দেখিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে কুত্তা মার্কা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। যে নির্বাচন দেশে ও বিদেশের সবাই বলছে এ নির্বাচন ছিল ত্রুটিপূর্ন। এতে জনগণ ও সব দলের অংশগ্রহন ছিল নাএবং জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটেনি।
বিচার বিভাগ পুলিশের চেয়ে ভয়ংকর বলে দাবি করে ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনার নামের ১৫টি মামলা তুলে নিয়েছে অথচ বিএনপি চেয়ারপারসনের নামের মামলা চালিয়ে হয়রানি করছে। সরকার গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতীয় সম্প্রচারনীতি মালা করে মিডিয়া,অভিশংসন করে বিচার বিভাগসহ দুদুক, নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া এই জেলা সম্মেলন ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ জেলায় ৮ টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা আছে।
ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, মুসফিকুর রহমান , বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, চট্রগ্রাম বিভাগের সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকার, আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ খালেক, কাজী আনোয়ার হোসেন, নির্বাহীর কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসিম, রফিক শিকদার প্রমুখ।