বিজয়ের প্রথম প্রহরে উজ্জীবিত তারুণ্য: শ্লোগানে মুখর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৫:৫৭,অপরাহ্ন ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। চারদিকে হাজারো মানুষের ভিড়। সবার মুখেই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান। দলে-দলে আসছে আরও মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা পেশা-শ্রেণির মানুষ। কারো হাতে একটি ফুল, কারো হাতে ফুলের তোড়া, দলবদ্ধভাবে কয়েকজন আবার হাতে ফুলের ডালা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনে। সবার একটাই লক্ষ্য। শহীদ মিনারের পাদদেশে সেই ফুল দিয়ে দেশমাতৃকার মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো। ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো ঘড়ির কাটা। এলো বিজয়ের প্রথম প্রহর। শুরু হলো একে একে ফুল দেয়া।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর হতে না হতেই দলে-দলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে থাকে ফুল নিয়ে। লক্ষ্য একটাই- শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো। ১৯৭১ এর এইদিনেই যে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয়ী হয়েছিলো বাঙালি।
শুরুতেই শহীদ মিনারের পাদদেশে ফুল অর্পণ করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী। এরপর ফুলের ডালা দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র এম মনজুর আলম। এরপর ফুল নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো: আব্দুল্লাহ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ও পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল। অত:পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আজম নাছির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ডা: শাহাদাৎ হোসেন শহীদ মিনারে ফুল অর্পণ করেন। পরে অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। ফুলে ফুল উপচে পড়ে শহীদ মিনারের পাদদেশ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রতিবছরই বিজয়ের প্রথম প্রহরে এখানে আসি আমরা। কিন্তু এবারের আসাটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। কারণ, এবার আমাদের আনন্দের সাথে যোগ হয়েছে মানবতাবিরোধী রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বিচার ও তা কার্যকর হতে দেখে।
দীর্ঘ ৪৩ বছরের পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসির পর আপিল বিভাগে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির আদেশ বহাল তাকায় খুশি তরুণ সমাজও। সেখানে উপস্থিত একাধিক তরুণের প্রত্যাশা- শীঘ্রই বাকি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে।
শহীদ মিনারে আসা তরুণ জসীম আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘ ৪৩ বছর পর দেখিয়ে দিয়েছি বাংলায় রাজাকারদের স্থান নেই। বাকি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যত্রুম যেন কোনোমতেই বাধাগ্রস্ত না হয়- সেই দাবিই জানান তিনি সরকারের কাছে।