বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা কাল
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৭:৪৩,অপরাহ্ন ২৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫’র প্রস্তুতি প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আয়োজক বাংলা একাডেমি স্টল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করে এনেছে। এ প্রসঙ্গে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান প্রস্তুতির অবশিষ্ট কাজ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পাঠক-দর্শনার্থীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের মেলায় অনেক পরিবর্তন ও নতুনত্ব লক্ষ্য করবেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনের মেলার অংশের পরিসর প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মত মেলায় প্যাভেলিয়ান দেয়া হয়েছে। এর ফলে পাঠক-দর্শনার্থীরা খোলামেলা পরিবেশে বেশ স্বাচছন্দ্যে বই নেড়েচেড়ে দেখে ও পড়ে কেনাকাটা করতে পারবেন। মেলা চত্বরে বাংলা একাডেমি ছাড়াও ইউনিভারসিটি প্রেস লিমিটেড, অন্যপ্রকাশ, আগামী প্রকাশনী, অনুপম প্রকাশনী, সময় প্রকাশন, কাকলী প্রকাশনী, মওলা ব্রাদার্স, সাহিত্য প্রকাশ ও পাঠক সমাবেশের প্যাভেলিয়ান থাকবে বলেও তিনি জানান।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলা একাডেমির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার মেলাকে কেন্দ্র করে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৫’র আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানী, বেলজিয়াম, সুইডেন, মালয়েশিয়া ও ভারতসহ ১১টি দেশের ৪১ জন বিদেশী কবি-সাহিত্যিক উপস্থিত থাকবেন। তারা উপভোগ করবেন বাঙালির প্রাণের মেলা। যা আমাদের মেলার জন্য একটি বড় পাওয়া হবে। তিনি বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনের উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চে এবারই প্রথম মাসব্যাপী নাট্য উৎসবের আয়োজন রাখা হয়েছে। দর্শনার্থী ও পাঠকদের জন্য এটি একটি নতুন সংযোজন। এর ফলে পুরো এলাকা জুড়ে বিরাজ করবে সংস্কৃতির আবহ।
শামসুজ্জামান খান বলেন, পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ২০১৫’র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। ওই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। তিনি বলেন, আগামিকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় একাডেমির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, ২৩০টি সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা, ১৮টি সরকারী প্রতিষ্ঠান, ২৬টি শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা ও বেশ কয়েকটি এনজিও সংস্থাকে এবার এ পর্যন্ত ৫৪১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১ ইউনিটে স্টল আছে ১৫৫টি, ২ ইউনিটে ১১৫টি, ৩ ইউনিটে ৫২টি ও ৪ ইউনিটের ১টি।
তিনি বলেন, এবার স্টলগুলোর ইউনিটের আকার আবার পূর্বের ধারায়, অর্থাৎ ৮ গুণ ৮ ইক্যুয়াল ৬৪ স্কয়ার ফুটের মাপে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্থান সংকুলানের অভাবে বিগত কয়েক বছরের মেলায় স্টলের ইউনিটের আকার কমিয়ে ৬ গুণ ৬ ইক্যুয়াল ৩৬ স্কয়ার ফুট করা হয়েছিল। প্রথমবারের মত দেয়া মেলার প্যাভেলিয়ানের আকার ২০ গুণ ২০ ইক্যুয়াল ৪০০ স্কয়ার ফুট নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
একাডেমি মহাপরিচালক বলেন, অন্যান্যবারের মত এবারও সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থার স্টলগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে। আর সরকারী সংস্থা, শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা, এনজিও, ১০টি গণমাধ্যম এবং লিটল ম্যাগাজিনের স্টলগুলো থাকবে বাংলা একাডেমি চত্বরে।
তিনি বলেন, স্টলের দাবি জানিয়ে ১৪৪টি লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে ৫২টি লিটল ম্যাগকে স্টল ও ২৯টিকে উন্মুক্তভাবে তাদের পত্রিকা বিক্রির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশ ও আনছার বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে থাকবে মেলা চত্বর। দর্শনার্থীরা আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং চত্বর জুড়ে থাকবে ৬০টি সিসি ক্যামেরা।