ফের বিলবোর্ড উচ্ছেদে পুলিশ, আটক ১
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩৭:২৩,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বছরের প্রথম দিন থেকে আবারও বিলবোর্ড উচ্ছেদে নেমেছে নগর পুলিশ। সিএমপি কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডল উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর ওয়াসা মোড়ে একটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। এসময় রিফাত নামে ওই বিলবোর্ড প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারিকে সিএমপি অধ্যাদেশে আটক করা হয়েছে।
নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে, অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদের পাশাপাশি স্থাপনকারী অথবা তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি যাকে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে সিএমপি অধ্যাদেশে মামলা দায়ের করা হবে। বৃহস্পতিবার একটি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে বিলবোর্ড স্থাপন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে। মাসখানেক আগে চট্টগ্রাম সফরে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যত্রতত্র বিলবোর্ড নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এজন্য সিটি কর্পোরেশনকেও দায়ি করেন।
নগরীতে বিলবোর্ড ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবদলের অনেক নেতাও এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত তাদের রাজনৈতিক দাপটের কাছে অসহায় সিটি কর্পোরেশন অতীতে বারবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও পরে পিছিয়ে গেছে।
এ অবস্থায় কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর বিলবোর্ড উচ্ছেদে এগিয়ে আসেন আব্দুল জলিল মন্ডল। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৪২২টি অবৈধ বিলবোর্ডের একটি তালিকা নগর পুলিশকে দেয়া হয়।
ওই তালিকা ধরে গত ১৬ নভেম্বর থেকে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে নামে নগর পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন। শুরুতেই নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিলবোর্ড বাধার মুখেও উপড়ে ফেলে নগর পুলিশ যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, আবার এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর বিলবোর্ড উচ্ছেদ করতে না পেরে সমালোচনাও কুড়িয়েছে।
তবে মাত্র ৩১টি বিলবোর্ড উচ্ছেদের পর অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে নগরীর বাকলিয়া থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে অসহায়ত্বের কথাও শোনা গেছে পুলিশ কমিশনারের মুখে।
এরপর ১৩ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার আরও অসহায়ত্ব নিয়ে বলেন, বিলবোর্ড উচ্ছেদ তার কাজ নয়।