প্রিপারেটরি স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে রিট
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৫:৪৮,অপরাহ্ন ১৪ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে (বালিকা শাখা) প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িতকে খুঁজে বের করতে এবং এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান রুবেল এ রিট দায়ের করেন। রিটে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী জানান, একটি দৈনিক পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার ভিত্তিতে তিনি রিট দায়ের করেছেন। আগামী রবিবার কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে জানা যায়, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে স্কুলটির প্রথম ও পঞ্চম শ্রেণির দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তারা বলছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও প্রথমে তারা বিষয়টি আমলে নিতে চাননি। বরং স্কুলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার মতো বিষয়ে কোনও অভিভাবক জড়িত আছে জানতে পারলে, সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর বুধবার অভিভাবকরা একজোট হয়ে স্কুলে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও মামলা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোনও মামলা করেনি বা অভিযুক্তকে পুলিশে দেয়নি। বরং কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় আমাদের শিশুদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছে।
অভিভাবকদের প্রতিনিধি রেজাউল হক শিশির বলেন, ‘শনিবারের মধ্যে যদি তারা কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান শুরু করব এবং তখন আমরা দায়িত্বরতদের পদত্যাগের দাবি জানাব।’ কেন তারা মামলা করছেন না জানতে চাইলে, এই অভিভাবক বলেন, আমরা চাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এর দায় নেবেন। বৃহস্পতিবার স্কুল অলিখিতভাবে বন্ধ ছিল। কোনও ক্লাস পরীক্ষা হয়নি বলে জানা গেছে। সকাল থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করলেও তাদের সঙ্গে কথা বলতে আপত্তি জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।