পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০০:৩১,অপরাহ্ন ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
এখন থেকে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যা করলে অপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইন অনুযায়ী পেট্রোল বোমা ছুড়ে মানুষ হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ বলেও বিবেচিত হবে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকে মাসব্যাপী অবরোধ ও হরতালে লাগামহীন নাশকতা চলছে। ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালগুলোতে কাতরাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। অাইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাশকতাকারী এবং ককটেল-পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের প্রতি জিরো টলারেন্সের নীতি নিলেও কোনওভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এরইমধ্যেই স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি কঠোরভাবে প্রয়োগের কথা জানিয়েছে।
এ আইনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কোনও ব্যক্তি ও সংগঠনের সহযোগিতাকেও কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উস্কানিমূলকভাবে প্রচারের জন্যও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করারও বিধান রাখা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারা এবং শাস্তির বিধান নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে গণমাধ্যমে প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে তথ্য বিবরণীতে।
সরকারি ওই তথ্য বিবরণীতে সন্ত্রাস বিরোধী আইন- ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা-উপধারাও তুলে ধরা হয়–
ক) কোনও ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোন দাহ্য পদার্থ বা কোনও অস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহার করলে বা এ উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখলে এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (উ)]
খ) কোনও ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনও দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করলে বা চেষ্টা করলে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (অ)]।
গ) কোনও ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনও দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করার ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করলে তার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (আ)]।
ঘ) কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন উক্তরূপ সন্ত্রাসী কার্যে আর্থিকভাবে সহায়তা করলে এর শাস্তি ২০ বছরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৭ (৩) (৪)]।
ঙ) কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন পেট্রোল বোমা বহনকারী বা প্রস্তুতকারী বা প্রয়োগকারী কোনও অপরাধীকে আশ্রয় দিলে তার শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-১৪ (১) (ক)]।
চ) পেট্রোল বোমা বা কোনও দাহ্য পদার্থ দ্বারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারী কোনও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উস্কানিমূলক সহায়তা দেওয়ার জন্য যদি কোনও ইলেক্ট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করেন তাহলে এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড ([ধারা-১৩]।