পেটের ব্যাথা সইতে না পেরে ব্লেড দিয়ে পেট কেটে আত্মহত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২০:৫৮,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নীলফামারীতে এক দিন মজুর পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ব্লেড দিয়ে পেট কেটে আত্মহত্যা করেছে।
আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যায়। নিহত ব্যাক্তি হলেন, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ী গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম (৭০)। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন, কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে এবং প্রতিবেশীদের সামান্য সহযোগীতায় কোন রকমে তাদের সংসার চলছিল।
এ অবস্থায় ক্রমাগত পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে রবিবার সন্ধ্যায় নিজেই ব্লেড দিয়ে পেট কেটে ফেলেন সিরাজুল। এতে বেড়িয়ে আসে তার নাড়ি-ভুড়ি। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে দেয়। এখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়। রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে পাগলাপীর নামক এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে সহযোগীতা চেয়েও কিছু পাইনি। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে পারিনি কিন্তু তিনি নিজেই এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারেন বিশ্বাস হচ্ছে না। পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম বলেন, বছর খানেক আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হন সিরাজুল। সে সময় তার পেট এতো বেশী বড় হয়ে যায় যা অবিশ্বাস্য। নিঃশ্বাস নিতে সিরাজুলের অনেক কষ্ট হতো বলে শুনেছি।
এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি ব্লেড দিয়ে তার নিজের পেট কেটে ফেলেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম কর্মসৃজন কর্মসূচিতে গতবার সংযুক্ত থাকলেও এবার ছিলেন না বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে সিরাজুল আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।