পিপি হত্যা মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৬:৪০,অপরাহ্ন ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হায়দার হুসাইন হত্যা মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। বুধবার বেলা ১টায় বিচারক মো. আব্দুল হালিম এ রায় দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আমিনুল ইসলাম ওরফে আমির হোসেন, মেহেদী হাসান, মুরাদ হোসেন, বেল্লাল হোসেন ও ছগির হোসেন। এসময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন বেল্লাল হোসেন ও ছগির হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেন্বর জেএমবির বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক জগন্নাথ পাড়েঁ ও সোহেল আহম্মেদ নিহত হয়। এ ঘটনায় ২০০৬ সালের ২৯ মে দুই বিচারককে হত্যার দায়ে আদালত জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দেন। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়। মামলাটি পরিচালনা করেন তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হায়দার হুসাইন। সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় তাকে হত্যায় এক মাসের আল্টিমেটাম দেন জেএমবি সদস্যরা। পরে তিনি জেলা প্রশাসনকের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। আল্টিমেটামের ২১ দিনের মাথায় ২০০৭ সালে ১১ এপ্রিল রাতে নামাজ পরে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাড. হায়দার হুসাইনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তারিক ইবনে হায়দার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রায় তিনবছর পর ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ সদস্য বরগুনার বেল্লাল হোসেন, আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর, খুলনার মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জেএমবির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার প্রতিশোধ নিতে জেএমবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাড. হায়দার হোসাইনকে হত্যা করা হয়। অভিযোগপত্র দাখিলের পর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত গত ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর মামলাটি বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠান। ট্রাইব্যুনাল ১৩৫ কার্য দিবসে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর পরই ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ কারণে ২০১১ সালের ২৬ জুন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনরায় ঝালকাঠির আদালতে ফেরত পাঠান।
২০১১ সালের ১২ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পুনর্বিচার শুরু হয়। এদিন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আসামি মুরাদ। পরে মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের কৌসুলী অ্যাড. এম আলম খান কামাল।