পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২০:১২,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক :: গ্রুপ পর্বে রুদ্ধশ্বাস লড়াই, রেকর্ডের ছড়াছড়ি। তবে উত্তেজনার লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দাপুটে জয়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ১০৯ রানের জয়। শুক্রবার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালও খুব একটা জমল না। পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়া।
তিন কোয়ার্টার ফাইনালে এশিয়ার তিন দেশ বিদায়। শুধু মাত্র ভারত পৌছেছে সেমিতে, তাও আম্পায়ারদের বদান্যতায়। তবে আগামী ২৬ মার্চ সেমিফাইনালে ভারতকে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে ফাইনালে উঠার জন্য। যেখানে তাদের মোকাবেলা করতে হবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে আগানো অস্ট্রেলিয়াকে। গ্রুপ পর্বে বিশ্বক ক্রিকেটে এক মোড়লের (ইংল্যান্ড) বিদায়। এবার সেমিতে বাকি দুই মোড়ল মুখোমুখি (ভারত-অস্ট্রেলিয়া)। আইসিসি বেকায়দায়ই পড়ে গেল বৈকি। কার পক্ষে হাঁটবে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্ক গায়ে জড়ানো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ন্তা সংস্থা?
অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটে-বলে বেশ আধিপত্যই দেখালো অস্ট্রেলিয়া। যেখানে শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হলো গত আসরের সেমিফাইনালিস্ট পাকিস্তানকে। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে অসি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ রানে অল আউট মিসবাহ শিবির। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান হ্যারিস সোহেলের। এছাড়া মিসবাহ ৩৪, শোয়েব মাকসুদ ২৯, আফ্রিদি ২৩ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে আগুন ঝড়ান হ্যাজলউড। ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া স্টার্ক-ম্যাক্সওয়েল দুটি, জনসন-ফকনার একটি করে উইকেট লাভ করেন।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট দাঁড়ায় ২১৪ রান। মামুলি এই টার্গেট ৩৩.৫ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় মাইকেল ক্লার্ক বাহিনী।
তবে শুরুটা ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সোহেল খানের গুড লেন্থের বলে পরাস্ত হন ফিঞ্চ। পায়ে লাগতেই আবেদন এবং আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙ্গুল তুলে জানিয়ে দিলেন আউট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেন নাই অসি ওপেনার।
স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওয়াহাব রিয়াজের তোপের মুখে উইকেটই বিলিয়ে দিয়ে আসতে হয় ওয়ার্নারকে। ৯ম ওভারের তৃতীয় বলে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়েই রাহাত আলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ওয়ার্নার করেন ২৪ রান।
অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সেই ওয়াহাব রিয়াজের বলে শোয়েব মাকসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাত্র ৮ রান করে। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় ফিরতে পারতেন ওয়াটসনও। রিয়াজের করা বলে ফাইন লেগে আকাশে বল তুলে দেন ওয়াটসন। কিন্তু সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন রাহাত আলী। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত্তি করে দেন স্টিভেন স্মিথ। ৬৯ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। এহসান আদিলের বলে এলবিডব্লু র শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। অস্ট্রেলিয়ার দলীয় রান তখন ১৪৮।
তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সেরেছেন ওয়াটসন ও ম্যাক্সওয়েল। ওয়াটসন ৬৬ বলে ৬৪ ও ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৯৭ বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ২১৬ রান। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে পাক শিবিরে তাণ্ডব চালানো জশ হ্যাজলউডই জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।