পাইপের ভেতর থেকে মৃত জিহাদ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৩:৪৮,অপরাহ্ন ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই শাহজাহানপুরে ওয়াসার পানির পাইপের ভেতর থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ফারুক নামের এক ব্যক্তি একটি জাল ও রশি দিয়ে জিহাদকে টেনে তুলেছেন।
শনিবার পৌনে তিনটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে এর আগে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। গাড়ি মেকানিক ফারুক হোসেনর সঙ্গে ওই এলাকার আরো কয়েকজন মেকানিক একত্রিত হয়ে এই ক্যাচারটি তৈরি করেন। তাকে প্রায় ২৩৫ ফুট নিচ থেকে ওই যন্ত্রটি দিয়ে টেনে তোলা হয়েছে। সরকারিভাবে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করার ঠিক ১৫ মিনিটের মাথায় শিশুটি উদ্ধার হলো। শনিবার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক উদ্ধার অভিযান স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে জিহাদ নামে সাড়ে তিন বছরের শিশুটি পড়ে যায়। তবে সে পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে সেটিকে গুজব বলে জানান দায়িত্বরতরা।
তারা জানান, ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তখন বলেন, ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল, সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।’
পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা এসেছি ছেলেটিকে উদ্ধার করতে। পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে রেল মন্ত্রণালয়। তবে পাইপে কোনো মানুষ নেই, সেটা ক্যামেরায় দেখা গেছে। এটা আসলে গুজব হতে পারে।’
এর আগে স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পরে বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলায় ফায়র সার্ভিস। তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে তা ধরতেও বলা হয়।
তখন শিশুটি বেঁচে আছে বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস শিশুটি খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।