নেত্রকোনায় গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৮:০৬,অপরাহ্ন ২০ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নেত্রকোনা জেলা শহরের পূর্ব মালনী গুচ্ছগ্রামের গৃহবধূ রহিমা আক্তারের (১৮) মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের রুই কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে রহিমা আক্তারের সাথে প্রায় ৭ মাস পূর্বে জেলা শহরের পূর্ব মালনী গুচ্ছগ্রামের মৃত হাবুল মিয়ার ছেলে হোটেল বয় সাগরের বিয়ে হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী গৃহবধু রহিমার লাশ একটি গাছে ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মৃতের মা পারুল আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাই ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে প্রায় সময়ই বকাঝকা ও মারধর করতো। যৌতুক না দেয়ায় তারা আমার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করেছে। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের দাগ রয়েছে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্বামী সাগর বলেন, দুই মাস পূর্বে প্রতিবেশীদের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছিল। তারাই রহিমাকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
প্রতিবেশীরা বলছেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। তাদের ধারণা, অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে রহিমা আত্মহত্যা করেছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম মাছুদুল আলম বলেন, রহিমার মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।