আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: আগামী ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে নিজের আসনেই তাকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন এক মুসলিম অভিবাসী তরুণ। ইরান বংশোদ্ভূত এই তরুণের নাম আলি মিলানি, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি লেবার পার্টির এমপি প্রার্থী। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের আক্সব্রিজ থেকে লড়াই করছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বরিস এখান থেকে ৫ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অর্থাত্ বিরোধী লেবার পার্টি ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেলে বরিসকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী হতে বরিসের বাধা থাকবে না। কারণ দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী হতে এমপি হওয়ার প্রয়োজন নেই। হাউজ অব লর্ডস থেকেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।
বরিসের জন্য সবচেয়ে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তিনি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। কিন্তু আলি মিলানি আক্সব্রিজের স্থায়ী বাসিন্দা। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী আইনপ্রণেতাদের নিজের জেলা বা আসনে স্থায়ীভাবে থাকতে হয় না। তারা শুধু পার্লামেন্টে নিজের এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। বরিস জনসনও আক্সব্রিজে থাকেন না, যদিও মাঝেমধ্যে সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় তাকে।
পাঁচ বছর বয়সে ইরান থেকে আক্সব্রিজে পরিবারের সঙ্গে আসেন আলি মিলানি। এরপর থেকে এখানেই তার বাস। এখানেই তার পড়ালেখা। এই এলাকা থেকেই তিনি নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে শতাধিক কর্মীও থাকেন। তিনি বরিসকে ভোট না দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
মিলানি জানান, স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় এখানকার মানুষের চাহিদা তথা দাবিদাওয়া তার নখদর্পণে। তিনি আশা করেন, ভোটাররা এবার তাকেই জয়ী করবেন। ১৬ বছর বয়সে ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মিলানি।