নাশকতায় বিএনপির নবাব খান
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৫:২৪,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নগরীতে চলমান নাশকতার সঙ্গে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খানের জড়িত থাকার বিষয় উল্লেখ করে আদালতে আরও দু’জন জবানবন্দি দিয়েছেন। কবির হোসেন (১৮) ও মো.সোহেল (১৮) নামে দু’জন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছে, ককটেল-পেট্রলবোমা হামলার সঙ্গে নবাব খান ও তার অনুসারী শফিক, জাহাঙ্গীর, ফিরোজ, বাবু, ফারুক জড়িত। তারা নিম্ন আয়ের লোকজন ভাড়া করে নগরীর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতা করছে।
কবির ও সোহেল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায় এসব জবানবন্দি দিয়েছে। বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, নবাব খান ও তার সহযোগীদের নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে দু’জন আসামির জবানবন্দিতে কিছু তথ্য এসেছে। এর আগেও নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অন্ত:ত চারজন জিজ্ঞাসাবাদে নবাব খানের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি নগরীর বাকলিয়া থানার ইছাইক্যার পুল এলাকা থেকে সোহেল ও কবিরকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছে একটি বাজারের ব্যাগে দু’টি পেট্রল বোমা, একটি ককটেল ও একটি গ্যাস লাইটার যায়। আটকের পর রোববার তাদের দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। সোমবার তারা আদালতে জবানবন্দি দেয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে সোহেল জানায়, সে বৌবাজারে একটি ঝুট কাপড়ের দোকানে কাজ করে। ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোকান বন্ধ করার পর ফারুক তাকে ফোন দিয়ে ময়দার মিল এলাকায় যেতে বলে। সোহেল জবানবন্দিতে বলেন, ‘ফারুক বিএনপি করে, তার বাবার নাম সুন্দর আলী।’ জবানবন্দিতে সোহেল আরও জানায়, ময়দার মিল যাবার সময় সোহেল তার বন্ধু কবিরকেও সঙ্গে নেয়। ময়দার মিল যাবার পর ফারুক তাদের নিয়ে চাক্তাই এলাকায় একটি স্কুলের মাঠে যায়। সেখানে শফিক, জাহাঙ্গীর, বাবু ও ফিরোজসহ আরও তিন-চারজন ছিল।
স্কুল মাঠে সোহেল ও কবিরকে একটি বাজারের ব্যাগ দেয়া হয়। ব্যাগে দু’টি পেট্রল বোমা, একটি ককটেল এবং একটি গ্যাস লাইটার ছিল। ফারুক তাদের ব্যাগটি নিয়ে কালা মিয়া বাজার যেতে বলে এবং সেখানে গেলে তাদের কাছ থেকে কয়েকজন এসে ব্যাগটি নিয়ে যাবে বলে জানায়। এসময় তাদের নাশতা করার জন্য পাঁচশ টাকা দেয় ফারুক। সোহেল জবানবন্দিতে বলেন, ‘ফারুক ব্যাগটি দেয়ার সময় নবাব খানকে ফোন করে বলে ব্যাগটি আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সোহেল জবানবন্দিতে আরও জানায়, চাক্তাই স্কুল মাঠ থেকে সোহেল ও কবির একটি রিক্সায় করে রওনা দেয়। কালা মিয়া বাজার এলাকায় শফিক, জাহাঙ্গীর, বাবু ও ফিরোজের সঙ্গে তাদের আবারও দেখা হবে বলে ফারুক জানিয়েছিল। কিন্তু এর আগেই রিক্সা ইছাইক্যার পুল অতিক্রমের সময় সোহেল ও কবির পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। জবানবন্দি শেষে সোহেল ও কবিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।