নার্গিসকে ধর্ষণের পর হত্যা : ভারতের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৬:৫২,অপরাহ্ন ২৩ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশী তরুণী নার্গিস বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যার ব্যাপারে ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে। ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার সালাউদ্দিন নোমান চৌধুরী বলেন, ‘নার্গিস বেগমের পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে যে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তার পরিবারের অভিযোগ ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাশাপাশি এমন ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেছি।’
নার্গিসের পরিবার জানায়, চিকিৎসার উদ্দেশে গত ৯ মার্চ বৈধপথে ভারত যান বাংলাদেশের নার্গিস বেগম। ভারত যাওয়ার ৪১ দিন পর গত ২০ এপ্রিল বিকৃত অবস্থায় তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত আসে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে ভারতের চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জানা যায়, নিজের ও জন্মান্ধ মায়ের চিকিৎসার জন্য ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে খুলনার নার্গিস বেগম গত ৯ মার্চ বৈধ পথে ভারত যান। চিকিৎসা শেষে আজমির শরিফও ঘুরে আসার ইচ্ছা ছিল তাদের।
গত ১০ মার্চ তারা হাওড়া ষ্টেশন থেকে দিল্লির উদ্দেশে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি কানপুর পৌছলে কয়েকজন যুবক দিল্লি এসে গেছে বলে তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে আনে। পরে নার্গিসকে প্লাটফর্মে আটকে রেখে তার মা ও মেয়েকে জোরকরে ওই ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। এরপর ট্রেন ছেড়ে দিলে পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন নার্গিস। পরবর্তী সময়ে ভারতীয় লোকজনের সহায়তায় বাংলাদেশে ফেরেন নার্গিসের মা ও মেয়ে।
নার্গিসের পরিবার গত ১৯ মার্চ সোনাডাঙ্গা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারেন, নার্গিস মারা গেছেন। তার মরদেহ ভারতের উত্তর প্রদেশের বাধান রেলষ্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অনেক নাটকীয়তার পর গত ২০ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় বেনাপোল স্থলবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নার্গিসের মরদেহ বুঝে পান তার পরিবার।
নার্গিসের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। পায়ের গোড়ালি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চামড়ার সঙ্গে কোনো রকমে আটকে রয়েছে। ডান হাত কাঁধ থেকে ভাঙা। নার্গিসের দুই স্তনই কেটে ফেলা হয়। পরে ওইদিন দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে নার্গিসের মরদেহ দাফন করা হয়।