দেশে দুই কোটির বেশি লোক অর্ধবেকার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৬:০৭,অপরাহ্ন ১০ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: দেশের বেকার পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে, সে হারে কর্মসংস্থান বাড়ছে না। ২০১৩ সালের হিসাবে দেশে বেকার ২৬ লাখ। ২০১০ সালেও বেকারের সংখ্যা একই ছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৩-এর প্রাথমিক খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী এ হিসাব তৈরি করা হয়েছে। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার বিবেচনা করা হবে।
সে হিসেবে বিশাল এ বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ পায় না।
কিন্তু, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবন ধারণ করা অসম্ভব। এ জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরো শ্রমশক্তি জরিপে সপ্তাহে ১ থেকে ৩৫ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পান—এমন ব্যক্তির কাজের হিসাব জরিপে নিয়ে থাকে। তাদের অবশ্য অর্ধবেকার বলা হয়। তারা চাকরি করে মাস শেষে বেতন বা মজুরি পান না। টিউশনি, গৃহকর্মের মতো অস্থায়ী কাজ করেন।
বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের প্রাথমিক এ হিসাবে দেখা গেছে, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এ ধরনের অর্ধবেকার বেড়েছে এক কোটির বেশি। আর ২০১৪ সালে এসে তা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখ।
২০১০ সালের জরিপে দেখা যায়, দেশে অর্ধবেকারের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লাখ।
আলোচ্য সময়ে পুরুষ বেকার কমলেও নারী বেকার বেড়েছে। তিন বছরের ব্যবধানে পুরুষ বেকারের সংখ্যা কমেছে তিন লাখ। এখন ১৩ লাখ পুরুষ বেকার। আবার একইভাবে নারী বেকার বেড়েছে তিন লাখ। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ১৩ লাখ।
জরিপে দেখা যায়, ২০১১, ১২, ১৩ সাল অর্থাৎ তিন বছরে দেশে ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১৩ লাখের বেশি মানুষ কাজ পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে প্রতি ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলে আড়াই লাখ লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার কথা। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতিবছর কমপক্ষে ১৫ লাখ মানুষের জন্য নতুন কাজ তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দরকার।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি হলে বর্তমানে যে হারে কর্মসংস্থান হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হারে কর্মসংস্থান হবে। এতে প্রতিবছর যতসংখ্যক মানুষ শ্রমবাজারে যুক্ত হয়, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে।
এখন বিভিন্নভাবে কাজের মধ্যে রয়েছেন বা কর্মরত আছেন ৫ কোটি ৮১ লাখ মানুষ। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ। আর বর্তমানে ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ।বিবারের গানে পাকিস্তানে দুই বোনের বাজিমাত