দেশের মানুষ শান্তিতে নেই : খালেদা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৮:২৬,অপরাহ্ন ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ শান্তিতে নেই, তাই এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়ন করা উচিৎ। আওয়ামীলীগের দ্বারা দেশের মানুষ নির্যাতিত-গুম-খুন হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে শনিবার বিকেলে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আজকে দেশের সিভিল প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। তারা ভালো ভালো অফিসারকে প্রশাসন থেকে বাদ দিচ্ছে।
খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়নি। আসলে অপহরণ করা হয়েছিলো মোট ১১ জনকে। এ ঘটনার নায়ক হল র্যাব। র্যাব তাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
তিরি আরও বলেন, বেহায়া আর বেইমান মিলে দেশে খুন-গুমের রাজত্ব কায়েম করেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত সাগর-রুনি হত্যার পর সাবেক সরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চার ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার হবে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হলেও সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ, প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করলে সরকারের আসল গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। কারণ, তারা দেখেছে যাওয়ার আগে ভোট দেয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ দাবি করে, তারা অনেক বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরী করেছে কিন্তু এখন শীতকাল তারপরও লোডশেডিং চলছে।
তিনি বলেন, সরকার বলছে গ্যাস বিদ্যুৎ এর দাম বাড়াবে। কিন্তু কোন কলকারখানাতে গ্যাস বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। সরকার যদি গ্যাসের দাম বাড়াই তাহলে আমরা বসে থাকবো না।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। জনগণ কষ্ট করবে তা আমরা মেনে নেবো না।
খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জে এই সরকার কোনো কলকারাখানা স্থাপন করেনি। কৃষকদের সরকার বিনাপয়সায় সার-কীটনাষক দেয়ার কথা বললেও তা দেয়নি। বরং দশ টাকা করে চালের কেজির কথা বললেও তিরিশ-চল্লিশ টাকা করে চাল বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি পুলিশ বাহিনীকে বলবো কথায় কথায় বন্দুকের ক্ষমতা দেখাবেন না। আপনারা দেশের জনগণের চাকরি করেন। আপনারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, আপনারা শুনেছেন এ কে খন্দকার তার বইতে লিখেছেন স্বাধীনতার ঘোষণা শেখ মুজিবুর রহমান দেয়নি। স্বাধিনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আমরা ক্ষমতায় গেলে কে স্বাধিনতার ঘোষণা দিয়েছেন তা আপনারা জানতে পারবেন। সেই দিন স্বাধিনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমানই দিয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসে না, তারা সেইদিন মইনুদ্দীন-ফকরুদ্দীনের অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেদিন তাদেরে সাথে আতাঁত করেছিলেন। কিন্তু আমাকে জোর করে বিদেশে পাঠানো পাঁয়তারা করেছিলো। অমি আপনাদের ছেড়ে সেদিন বিদেশ যাইনি। ফকরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার দেশকে শোচনীয় অবস্থায় রেখে গেছে।
তিনি বলেন, আপনারা জিজ্ঞাসা করেন শেখ হাসিনার ১৫ মামলা কেনো প্রত্যাহার করা হলো। আর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে।