দেশের প্রথম প্রাকৃতিক হিমাগার নির্মিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২০:৫৮,অপরাহ্ন ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: স্বল্প আয়ের কৃষকদের শস্য সংরক্ষণে রাজশাহীতে নির্মিত হয়েছে তিনশ টন ধারণক্ষমতার দেশের প্রথম প্রাকৃতিক হিমাগার। বিদ্যুতের ব্যবহার না থাকায় খুব কম খরচে এতে পচনশীল শস্য রাখতে পারবেন কৃষকরা। সিএসআর বা এসএমই ঋণের মাধ্যমে এ ধরনের আরো হিমাগার তৈরিতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
সাধারণ হিমাগারে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণে খরচ পড়ে অনেক বেশি। যা স্বল্প আয়ের কৃষকদের সাধ্যের বাইরে। তাই মৌসুমের সময় চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা। কৃষকদের এ দুর্দশা দেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে একটি ব্যয়সাশ্রয়ী শস্য সংরক্ষণাগার তৈরি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি তিনতলা বিশিষ্ট এ হিমাগারের আয়তন এক হাজার সাতশ বর্গফুট।
হিমাগারে আলু ও গাজর চার থেকে পাঁচ মাস, টমেটো দুই থেকে তিন মাস, আম এক থেকে দেড় মাস, লিচু ১৫ দিন থেকে এক মাস এবং পেঁয়াজ ও রসুন চার থেকে ছয় মাস সংরক্ষণ করা যাবে।
পরীক্ষামূলকভাবে এটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। পরে এর নির্মাণ কমে আসবে বলে মনে করেন হিমাগারের উদ্ভাবক। সিএসআর বা এসএমই ঋণের মাধ্যমে এ ধরনের হিমাগার তৈরিতে সব ব্যাংককে এগিয়ে আসতে বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
পাইলট ভিত্তিতে নেয়া এ প্রকল্প সফল হলে, বেশি কৃষিপণ্য উৎপাদন হয় এমন এলাকায় পরে এ হিমাগার স্থাপন করা যাবে।