দিরাইয়ে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৫:১৮,অপরাহ্ন ২৫ নভেম্বর ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে মৌসুমি নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মৌসুমি। তবে তার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন।
নিহত মৌসুমি উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই গ্রামের রনদা প্রসাদ দাসের মেয়ে এবং তিনি দিরাই সরকারি কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। জানা যায়, মৌসুমির বাবা রনদা প্রসাদ দাসের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আন্দাবাজ গ্রামে। দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরালয় টুকদিরাই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।
শুক্রবার মৌসুমি ও তার বাবাকে রেখে তার মা শাল্লা উপজেলার শাশখাইগ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পাশের ঘরেই থাকেন মৌসুমির দুই মামা অম্লান দাস ও অমিত দাস। মা বাড়িতে না থাকায় মামাদের ঘরেই খাবার খেতে হচ্ছে বাবা ও মেয়েকে।
মৌসুমির বাবা রনদা প্রসাদ দাস বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডিম নিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে যাই। ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি আমার শ্যালক অমিতসহ অনেকেই মৌসুমির চোখে-মুখে পানি ঢেলে তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছেন। এসময় অমিত বলে, মৌসুমি অসুস্থ হয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৌসুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৌসুমির প্রতিবেশী মিতালী দাস বলেন, সকাল ১১টার দিকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে গিয়ে দেখি মৌসুমি শুয়ে আছে। তার চোখে-মুখে পানি ঢালা হচ্ছে। লোকজন বলছিল, সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, মৌসুমির বাবা আমাদের জানিয়েছেন, তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে আমি হাসপাতালে এসেছি।
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল বলেন, আমরা গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় কোনো লাশ দেখিনি। তাই এ নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না। নিহতের পরিবারের লোকজন লাশটি হাসপাতালে নিয়ে এসে আমাদেরকে খবর দেয়। তারা বলছেন, মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এখন ময়নাতদন্তের তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হচ্ছে।