থানায় ওয়ারেন্ট গেলেই খালেদা জিয়া গ্রেফতার : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১২:২৬,অপরাহ্ন ১১ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট গুলশান থানায় পৌঁছার পরই তাকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সংসদ সদস্য এ এম আউয়ালের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার গুলশানের অফিস তল্লাশির জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশনামা যখন গুলশান থানায় পৌঁছাবে তখন পুলিশ তল্লাশির ব্যবস্থা করবে। এটা করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ কেন তিনি বাড়ি ছেড়ে অফিসে বসে আছেন; এখানে রহস্য রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনও মুহূর্তে এ তল্লাশির আদেশ থানা পৌঁছাবে, তখনই খালেদার কার্যালয়ে তল্লাশি করা হবে এবং যখন তার (খালেদা জিয়া) গ্রেফতারের ওয়ারেন্ট পৌঁছাবে তখনই তাকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আসলে বিএনপির নেত্রী এখন আর কোনও রাজনৈতিক দলের নেত্রী নয়। তিনি এখন জঙ্গিনেত্রী। তিনি যে কাজ করছেন সেটা জঙ্গিবাদী কাজ। কোনও সুস্থ মানুষ অন্য মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারেন না। যেদিন খালেদা জিয়ার ছেলে মারা গেছেন এবং যেদিন লাশ দেশে এসেছে সেদিনও তিনি হরতাল-অবরোধ তুলেননি। নিজের ছেলের প্রতি যার এতটুকু দরদ নাই তার কাছ থেকে দেশবাসী কি আশা করতে পারে। মনে হয় তিনি এ দেশে জঙ্গিবাদী শাসন কায়েক করতে চান। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতি করাই মনে হয় তার একমাত্র কাজ।
একই সংসদ্যের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রী যে দাবি-দাওয়া দিয়েছেন, তা সবই তার নিজের ও তার ছেলের জন্য। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তার চিন্তাও নেই, দাবিও নেই। তাই জনগণ এখন তাকে একেবারেই সমর্থন করে না এবং জনগণ তার প্রতি ক্ষুব্ধ। মানুষ ঘৃণাভরে জ্বালাও-পোড়াও এবং পেট্রোল ঢেলে মানুষ হত্যা প্রত্যাখান করেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেই এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেত্রী খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে অফিসে বসে নাশকতামূলক কাজ করছেন। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছেন। বিএনপি-জামায়াত নেত্রী দেশের আইন মানেন না। কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে দেশের যেকোনও নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে কোর্টে আত্মসমর্পন করা। আর দায়িত্বশীল নাগরিক খুব দ্রুততার সঙ্গে কোর্টের আদেশ মান্য করবেন এটাই সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু খালেদা জিয়া কোর্টের আদেশ অমান্য করে অত্যন্ত খারাপ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আর আইনকে সমুন্নত রাখা সরকারের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত ৬৭ বার খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির তারিখ থাকলেও তিনি মাত্র ৭ বার আদালতে গিয়েছেন। শেষ যে বার গেছেন, সে বার তার নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাদের তাণ্ডবে সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসও আহত হয়েছেন। আসলে লাঠিসোটা নিয়ে আদালতকেও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে চেয়েছেন খালেদা জিয়া।