তারেককে ফিরিয়ে আনা নির্ভর করছে ব্রিটেনের আদালতের ওপর
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৫:৩৬,অপরাহ্ন ১৭ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা নির্ভর করছে ব্রিটেনের আদালতের ওপর। বাংলাদেশ সরকার যদি তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে অনুরোধ করে এবং আদালতের শুনানির ভিত্তিতে যদি ব্রিটিশ সরকার সন্তুষ্ট হয় তবেই তাকে দেশে ফিরিয়ে দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের আইনজীবীরা। তবে বিএনপির আইনজীবীদের দাবি, তাকে গ্রেপ্তার করার এখতিয়ার রাখে না ইন্টারপোল।
লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় পলাতক হিসেবে মঙ্গলবার রেড এলার্ট জারি করে ইন্টারপোল। এলার্ট জারির বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বিশ্বের ১৯০ টি দেশকে। তবে এই রেড এলার্ট জারির ফলে তাকে গ্রেপ্তার কিংবা দেশে ফিরিয়ে নেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক।
তবে, ব্রিটেনের এক্সটারডিশেন অ্যাক্ট ২০০৩-এ সেকশন ২ এর তালিকায় বাংলাদেশের নাম থাকায় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে যুক্তিপ্রমানসহ আদালতে মামলা করে যে কাউকে তার নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে বলে জানালেন লিংকনস ল চেম্বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাহমিনা কবীর।
আইনজীবী ব্যারিস্টার তাহমিনা কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে অনুরোধ পাঠাতে হবে। আর সেটা যদি সঠিক হয় সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রঅধিদপ্তর একটা নোটিশ আদালতে পাঠাবে। আর আদালত যদি এটাকে সঠিক মনে করে তাহলে আদালত তার আদেশ জানাবে।’
এদিকে, বিএনপিপন্থী ব্রিটিশ আইনজীবীরা বলছেন, তারেক রহমানকে ইন্টারপোল গ্রেপ্তার করতে পারলে রেড এলার্ট জারির পরপরই করে ফেলতো। তারা তা করেননি, কারণ সেই এখতিয়ার তাদের নেই।
যুক্তরাজ্য বিএনপি আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব পোদ্দার বলেন, ‘উনাকে প্রথমত গ্রেফতার করবে না, গ্রেফতার করার হলে এতদিন করত। আর তারেক রহমান কোথায় রয়েছেন সেই খবর বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্টভাবেই আছে। তারা পুলিশকে সহযোগিতা করে এতদিন গ্রেফতার করে ফেলত।’
২০০৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে থেকে লন্ডনে আসেন তারেক রহমান। এইসময় রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে গিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের দেয়া তথ্যমতেই পলাতক হিসেবে রেড এলার্ট জারি করে ইন্টারপোল।