টিউলিপের প্রচারণায় লন্ডনের দুয়ারে দুয়ারে সিলেটিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৫:২৭,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রবাস ডেস্ক:: বাবা-মায়ের জন্মভূমির মতোই নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের উৎসাহের শেষ নেই। পূর্ব লন্ডন ছাড়াও ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোটের ফলাফল নির্ধারণে বাংলাদেশী ভোটারদের থাকবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের সাধারণ নির্বাচন আগামী ১২ই ডিসেম্বর। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থীদের পক্ষে এদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা প্রচারণায় নেমেছেন। গতকাল দেখা যায় যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুনোদয় পাল ঝলক হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসনের লেবার মনোনীত প্রার্থী টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য দুয়ারে দুয়ারে প্রচারণায়।
অরুনোদয় পাল ঝলক জানান, বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত সকল প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবো। আমরা বাংলাদেশী যারা এদেশে আছি তাদের সবাইকে প্রচারণায় নামা উচিৎ। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে সবাই প্রচারণায় নেমে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে যে তিনজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি তাদের একজন হচ্ছেন লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। ২০১৫ সালে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক নির্বাচনে তিনি লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এন্ড কিলবার্ন আসন থেকে প্রথম জয়ী হন। এরপর ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবারো জয়ী হন টিউলিপ সিদ্দিক। হ্যাম্পস্টেড এন্ড কিলবার্নে একদিকে যেমন উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের বাস, অন্যদিকে অনেক দরিদ্র মানুষও আছেন এখানে। আছেন হাজার খানেকের মতো বাংলাদেশি ভোটারও।
ব্রিটেনের ৫৬ তম সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসন থেকে এমপি পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর বড় মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে টিউলিপের জয়ের ব্যবধান ছিল এক হাজার ১৩৮ ভোট। ৭ মে ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন টিউলিপ। টিউলিপ সিদ্দিকী পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট। আর কনজারভেটিভ পার্টির সায়মন মার্কাস পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট। দুইবছর পর ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিক আবারও জিতলেন যুক্তরাজ্যে। এবার ভোটের ব্যবধান বেড়েছে দশগুণেরও বেশি। লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্র্টির প্রার্থী টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড পেয়েছেন টিউলিপের অর্ধেক ভোট। তার পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র ১৮ হাজার ৯০৪ জন।
২০১৫ সালে টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিপরিষদে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের লেবার পার্টির ছায়া শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপি।