নিউজ ডেস্ক:: সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ম্যাপ অনুযায়ী জায়গা চাওয়াতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে হুমকির অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী এহছানুল হক তাহের। মেয়র আরিফ তাকে হুমকি দিয়েছেন উল্লেখ করে বুধবার তিনি নগরীর কোতোয়ালী থানায় জিডি (নং-৫৪৫) করেন।
যদিও ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে এ ধরণের হুমকির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ম্যাপ অনুযায়ী জায়গা ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র আরিফ। বিষয়টি নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজারের দি হিলিং হোমিও ফার্মেসির সুমন আহমদ বলেন, ‘মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে আমাদের মার্কেটের সামনের জায়গা ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা সম্প্রাসারণ করতে সহয়োগিতা করার আহ্বান জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় এহছানুল হক তাহের রাস্তা সম্প্রসারণের ম্যাপ দেখতে চান মেয়রের কাছে। জবাবে মেয়র বলেন, ম্যাপ তো সঙ্গে নেই। অফিসে আসেন ম্যাপ দেখাবো।’
যদিও তাহের জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ‘মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আনুমানিক বিকাল ৫টায় জিন্দাবাজারে লতিফ সেন্টারের সম্মুখের ডান পার্শ্বে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে ড্রেন খননের লক্ষ্যে জায়গা নির্ধারণের বিষয়ে আলাপকালে পরিকল্পনা প্রণয়নের কপি চাওয়ায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী অবস্থায় হুমকি প্রদান করে বলেন, “দোকান ভাঙ্গবো পারলে আটকাও”। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি আমার মৌরশী সত্ত্বের দোকান রক্ষা ও আমার নিজের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
বিষয়টি নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজার হাজারী বিল্ডিং এর ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন- ‘মঙ্গলবার বিকালে আরিফুল হক আমাদের মার্কেটের সামনে আসেন। তখন এহছানুল হক তাহেরও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে মেয়র কাউকে হুমকি-ধামকি দিতে শুনিনি। মেয়র রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহযোগিতা চান।’
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, মঙ্গলবারে ঘটনায় কাউকে কোনো হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় নাই। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ব্যবসায়ীদের কাছে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জায়গা চেয়েছেন। এখানে ড্রেন নির্মাণের জন্য দোকানের সামনের জায়গা ছেড়ে দিতে আহ্বান জানান মেয়র আরিফ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে বদনাম রটাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আামি নগরবাসিকে এসব বিভ্রান্তিমূলক বিষয় থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া জিডির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।