নিউজ ডেস্ক:: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরবর্তী জামিন শুনানি ৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মামলায় তিনি সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বৃহত্তর আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। খালেদার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন।
শুনানি শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালত চত্বরে কড়া পুলিশী নিরাপত্তার বিষয়ে আদালতের কাছে অনুযোগ করেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য যুক্তিগুলো উপস্থাপন করতে থাকেন। তার সাথে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাও শুনানিতে বক্তব্য রাখবেন।
আপিল শুনানি কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটসহ সব গেটে জনসাধারণকে তল্লাশি, ক্ষেত্র বিশেষে পরিচয়পত্র চেক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আইনজীবী সমিতি ভবনের প্রবেশ পথে ও আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের প্রবেশ পথেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গত ২৫ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ২৮ নভেম্বর দিন ঠিক করেন। ওইদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।