জন্মদিনে ভালবাসায় সিক্ত এরশাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩১:৫৭,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ঘড়ির কাটা যখন রাত ১২ এক মিনিট, তখনই দলীয় নেতাকর্মীদের ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ ধ্বনি আর করতালিতে মুখরিত রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্টপার্ক। চলে কেক কাটা, ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের উৎসব। ২০ মার্চ ৮৫ বছরে পা রাখলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শুভ জন্মদিন উপলক্ষে এভাবেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় অভিসিক্ত হলেন।
শুক্রবার রাত ১২টা এক মিনিটেই প্রেসিডেন্টপার্কের বাসভবনে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী নিয়ে বিশালাকার কেক কাটেন এইচ এম এরশাদ। এ সময় করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান নেতাকর্মীরা। পরে সেই কেক নেতাকর্মীদের খাইয়ে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন করেন। নেতাকর্মীরাও তাকে কেক খাইয়ে দেন। তবে এরশাদের এই জন্মদিনে তার পাশে ছিলেন না আদরের শিশুপুত্র এরিক এরশাদ। বাবা যখন জন্মদিনের কেক কাটছিলেন পাশের রুমে এরিক তখন ঘুমে বিভোর।
জন্মদিন উপলক্ষে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যেই এরশাদের বাসভবনে হাজির হন তার পালিতকন্যা ও মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হোসেন মৌসুমী ও তার পরিবার, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, তাজ রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়াসহ জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তারা প্রত্যেকেই পৃথক পৃথকভাবে ফুলের তোড়া দিয়ে পার্টির চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সুস্থ্যজীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোয় এইচ এম এরশাদও তার দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
জানা গেছে, ৮৫তম জন্মদিনে দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও এরশাদের পাশে ছিলেন না স্ত্রী রওশন এরশাদ এমপি ও তার অনুগত দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জন্মদিন পালন করা দলের প্রাক্তন মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার এই জন্ম উৎসবে ছিলেন না বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।