জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৮:২৭,অপরাহ্ন ০৩ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন লুৎফুর রহমান (২৬), কলেজ ছাত্র আবুল কাশেম (২৩), কলেজ ছাত্র লিংকন মিয়া (২০), কছরু মিয়া (২২), আমির আলী (২০), সুজাব মিয়া (২৫), আরিছ আলী (১৮) ও শালিসি ব্যক্তি কামরুল হাসান (৩৫)। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত গুলিবিদ্ধ লুৎফুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত কলেজ ছাত্র আবুল কাশেম, লিংকন মিয়া ও শালিসি ব্যক্তি কামরুল হাসানকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আছকির আলী ও একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহানারা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে প্রবাসী জাহানারা বেগমের দায়ের করা একটি মামলায় আছকির চেয়ারম্যান বেশ কিছু দিন কারাভোগ করেছেন। তখন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।
বুধবার বেলা ১টার দিকে এ বিরোধীয় জায়গায় গাছ কাটতে যান প্রবাসী জাহানারা বেগমের লোকজন। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া বন্দুকের গুলিতে চেয়ারম্যান পক্ষের লুৎফুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার ইমার্জেন্সি অফিসার এস আই মফিজুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহানারা বেগম জানান, আমার জায়গার গাছ আমি কাটতে গেলে চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আছকির আলী জানান, প্রবাসী মহিলা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার জায়গার গাছ কাটতে যায়। আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ লুৎফুর রহমান বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাঃ অনির্বাণ সরকার জানান, গুলিবিদ্ধ লুৎফুর রহমানের শরীরে দুইটি গুলি থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার্ড করা হয়। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশের তৎপরতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।