গাজীপুরে ১৪৪ ধারা জারি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৩:৪৪,অপরাহ্ন ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
গাজীপুরে একই স্থানে একই সময়ে ২০ দলীয় জোট ও ছাত্রলীগের সমাবেশকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এ ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন শুক্রবার বেলা ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে গাজীপুরের কোথাও কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। দুপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ পরিদর্শন করতে দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। গতকাল থেকেই এই মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা পুলিশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মাঠ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ.স.ম. হান্নান শাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা সেখানে যাননি। তবে বিকেলে দলের পক্ষ থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে অনুমতিপত্র আছে, তাই তারা ২৭ ডিসেম্বর সেখানে সমাবেশ করবেন।
জানা যায়, আগামীকাল শনিবার নির্ধারিত তারিখের দুদিন আগেই বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থল ছাত্রলীগের দখলে নেয়ায় সেখানকার রাজনৈতিক অঙ্গণে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ছাত্রলীগ অবস্থান ধরে রাখার ঘোষণা দিলেও বিএনপি নেতারা যেকোনো মূল্যে সমাবেশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাঠিসোটা নিয়ে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ মাঠে মহড়া শুরু করে স্থানীয় ছাত্রলীগ। দফায় দফায় সেখানে তারা মিছিল করে।
কয়েকদিন আগে এই মাঠে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৭ ডিসেম্বর সমাবেশের ঘোষণা দেয়। এর পরপর একই স্থানে একই তারিখে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চায় স্থানীয় ছাত্রলীগ। এরপর এ নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেখানে বিএনপির সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করার কথা থাকলেও এদিন সকাল থেকেই মাঠটি দখলে চলে যায় ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগের কর্মীরা জানান, তারা যেকোনো মূল্যে এ সমাবেশ প্রতিহত করবেন। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সমাবেশ প্রতিহতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আমরা তারেক রহমানের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছি, তা না হলে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আমাদের রাজপথের আন্দোলনও চলবে।
দুপুরের পর থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা সমাবেশ মাঠের গেটের পাশে অবস্থান নেয়। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গাজীপুরে ছাত্রলীগই সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেয়া হয় সেখান থেকেও। অপরদিকে মাঠে পুলিশের অবস্থান থাকলেও বাইরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় মিছিল করছেন পুলিশের সামনেই। অন্যদিকে বিএনপির জেলা কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে বিএনপির কোন নেতা কর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে।