গণধর্ষণের পর খুবলে নিয়েছে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৫:১৪,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
রোববার বহু মহিলাসহ শত শত মানুষ রোতাক নামে শহরটির পাশে দিল্লিমুখি একটি মহাসড়ক অবরোধ করার পর হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। ২৮ বছরের ঐ মহিলাকে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না।এরপর বুধবার একটি খোলা মাঠে তার ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পাওযা যায়।
ময়না তদন্তে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যুর আগে ঐ মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়।ড এস কে ঢাটারাওয়াল নামে যে চিকিৎসক ময়না তদন্ত করেছেন, তিনি জানিয়েছেন মহিলার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।তার যৌনাঙ্গের ভেতর পাথরের টুকরো, ব্লেড, লাঠি ঢোকানো হয়। এমনকি তার হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা শশাঙ্ক আনন্দ বিবিসিকে বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এটা ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা।জানা গেছে কয়েকমাস মহিলাটি রোতাকে এসে তার বোনের কাছে ওঠে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হচ্ছিলো।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর তার বোনের বাড়ি থেকে ১৮ কিমি দুরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।পুলিশ যথেষ্ট তৎপর নয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত মহিলার বোন।
২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর সারা ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।সংবাদদাতারা বলছেন ঐ ঘটনার পর আইন অনেক শক্ত করা হলেও, দিল্লিতে ধর্ষণের ঘটনা কমার তেমন কোনো লক্ষণ এখনো নেই।-বিবিসি