গণতন্ত্র চুরি হয়ে গেছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫১:৪৬,অপরাহ্ন ২৬ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানি ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্র চুরি হয়ে গেছে। মানবাধিকারের কথা কেতাবে থাকলেও বাস্তবে নেই। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সেসব শহীদদের প্রশ্নের জবাব আমরা দিতে পারবো না।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির হলরুমে ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারতের মতো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ভিন্নভাবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, অনেক ত্যাগ আত্মদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘কারো দয়া-দাক্ষিণ্য ও আলোচনার মাধ্যমে নয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আত্মত্যাগের মাধ্যমে, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিকুণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের কাছে আমরা চিরঋণী। আমরা তাদের কাছে কীভাবে জবাব দেবো বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে। তারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছিলেন।’
এমাজ উদ্দিন বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ড জিয়াউর রহমানের স্বাধীতার ঘোষণা দিয়েছেন। জিয়া পরিবার গণতন্ত্রের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বেগম খালেদা জিয়া আজ প্রায় দুই মাস ধরে অবরুদ্ধ। গণতন্ত্রের কথা বলতে হলে অবশ্যই জিয়া পরিবারের কথা আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য অনেক দূর্বল। গণতন্ত্রের জন্য তারা জীবন দিতে সব সময়ই প্রস্তুত। এদেশের সাধারণ মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। সামনেও করবে। গণতন্ত্রের জন্য সাধারণ মানুষ সব সময়ই এগিয়ে ছিল এগিয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সনে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছেন। তার আগে এ দেশ থেকে গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরেই সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রের রূপদান করেছিলেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, চলচিত্র নির্মাতা গাজী মাজহারুল অনোয়ার, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খসরুজ্জামান, ঢাকা বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, শিল্পী বেবি নাজনীন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাসাসের সম্পাদক শিল্পী মনির খান, আসিব আকবরসহ অনেকে।