‘কোনো স্ক্রিপ্ট নেই, আপনিই আমাদের স্ক্রিপ্ট’
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৬:১০,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: পাঁচ বছর ধরে ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে ডকুফিল্মটির প্রযোজক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক জানান, ডকুফিল্মটি নির্মাণের সময় প্রধানমন্ত্রী ‘স্ক্রিপ্ট’ কোথায় জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম কোনো স্ক্রিপ্ট নেই, আপনিই আমাদের স্ক্রিপ্ট। আপনার ঘটনাবহুল জীবনই স্ক্রিপ্ট।
শুক্রবার ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অজানা-অদেখা নানা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’এর প্রদর্শনী শেষে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ডকুফিল্মটি তৈরির অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এসব বলেন। এতে আরও অংশ নেন- হাসিনা: আ ডটার’স টেল এর নির্মাতা পিপলু খান ও আবহসংগীতের কাজ করা কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্র। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারতীয় লেখক আঞ্জুম কাটেয়াল।
এর আগে সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে চলমান সাহিত্য উৎসবে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা এই প্রামাণ্যচিত্র দেখেন।
অনেক আগে থেকে এমন একটা ‘ডকুফিল্ম’ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছিল জানিয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি, কিন্তু যখন তার সাথে আমি, তিনি আমার খালা, খালার চেয়েও বেশি। কারণ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট ট্র্যাজেডিতে পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর তিনিই আমার কাছে আমার নানা, নানি, মামা আর হারানো স্বজনদের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তিনি বলেন, একজন মানুষ হিসেবে তিনি অসাধারণ। তাকে আমরা টেলিভিশনে দেখি, অফিশিয়াল ইভেন্ট, পুরস্কার বিতরণে, বক্তৃতায় তাকে আমরা পাই। কিন্তু এই ডকুফিল্মে আমরা এমন জায়গায় যেতে চেয়েছি যেখানে তার সাথে ক্যামেরা যায় না। তার লাইব্রেরি, তার পড়ার ঘর, রান্নাঘর।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, আমি মানুষকে শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি। তার জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নির্মাতা পিপলু খান এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করে তার কাজ শুরু করার কথা জানান।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া এই বাড়িটিকে আমার চেয়ে বেশি কেউ এখন চেনে না। কাজ করতে গিয়ে আমি পুরো বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে টুঙ্গিপাড়া যেতেন সেভাবে যাওয়ার জন্য আমরা নৌকা ভাড়া করেছিলাম। শুধু জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বোঝা না, পাশাপাশি বিপরীত বিষয়গুলোও আমাকে জানতে হয়েছে। নির্মাণকাজে মিউজিককে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অনেক কবিতা পড়তে হয়েছে বলেও জানান তিনি।