কোয়ার্টার ফাইনালের সুবাস পেতে শুরু করেছি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৪:৫০,অপরাহ্ন ০৫ মার্চ ২০১৫
হাবিবুল বাশার::
আগে থেকেই জানি, ছোট দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নামলে অামাদের ওপর প্রত্যাশার চাপটা অনেক বেশি থাকে। অার তখনই হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্কটল্যান্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিং দেখে সেরকমই মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু না ঘটায় অনেক স্বস্তি বোধ করছি।
নেলসনে আজ মাশরাফিরা কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলেছে। যদিও জয়ের পথটা মসৃণ ছিল না। যখন স্কটল্যান্ড ৩১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল তখন ভিন্ন কিছুই উঁকি দিচ্ছিল মনে। কারণ এতো বিশাল রান দেখে ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে অনুমান করাটা অসম্ভবই। শেষ পর্যন্ত চড়াই উতরাই পার করেই আমরা জয় তুলে নিয়েছি।
স্কটল্যান্ডয়ের চমৎকার ব্যাটিংয়ের উল্টো দিকে আমাদের বোলাররা অাজকে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। হয়তো উইকেট সহায়ক হয়নি। তবে নেলসনের কন্ডিশনে একটি স্পিনার বেশি নিয়ে নামলে হয়তো কিছু সুবিধা পাওয়া যেতো। যেহেতু স্কটিশরা পেস বলের চাইতে স্পিনে বেশি অস্বস্তিতে পড়ে। তাই সেই মোক্ষম ঘূর্ণি অস্ত্রটাই আমাদের ব্যবহার করা উচিৎ ছিল। দলে আট জন ব্যাটসম্যান থাকলেও ফিল্ডিংয়ের সময়ে বিজয় (এনামুল হক) চোট পেয়ে হাসপাতালে যাওয়ায় ভীষণ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম, কারণ ওর পক্ষে আর ব্যাট করা সম্ভব না হওয়ায় আমাদের একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়েই নামতে হয়েছে। তবে সিনিয়ররা আজ ব্যাটিংয়ের সময় চমৎকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ায় বিজয়ের অভাবটা শেষ পর্যন্ত আর টের পাওয়া যায়নি।
এতো বিশাল রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ আজ দারুণ পেশাদারীত্বের পরিচয় দিয়েছে। শতরান করতে না পারলেও তামিম ছন্দে ফিরেছে। এটাই আনন্দের সংবাদ। বিশ্বকাপে যেহেতু আমাদের কারো শতক নেই তাই একটু আক্ষেপ রয়েই গেলো। তবে তার অাউট হওয়ার পর পরবর্তীতে নামা ব্যাটসম্যানরা বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খেলেছে। বিশেষ করে সাকিব- মুশফিক অাজকে অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।
শেষ দিকে এটাই বলবো এ ম্যাচটায় জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের সুবাসটা কিন্তু অামরা পেতে শুরু করেছি। তাই সামনের খেলায় আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নামবো। আমার মনে হয় আমাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড এখন চাপেই থাকবে।