কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০০:৩৭,অপরাহ্ন ১১ এপ্রিল ২০১৫
ঢাকা:: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টার পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
রাত রাত ৯টার পরপরই ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে নিয়ম অনুযায়ী কামারুজ্জামানের প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়, এরপর তাকে তওবা করাতে মৌলভীকে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ‘প্রিজন কেবিনে’ ঢুকেন।
সন্ধ্যায় এই জামায়াত নেতার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করে বেরিয়ে আসার পর কারা ফটক এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের পর কর্মকর্তাদের ভেতরে ঢোকার ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছিল, রাতের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এরপর এক এক করে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারা অভ্যন্তরে ঢুকতে দেখা যায়।
রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ঢাকার সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা কারাগারের ভেতরে ঢোকেন। তার আগে ঢুকতে দেখা যায় র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলমকে।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন আহমদ কারাগারে ঢোকার পরপরই নাজিমুদ্দিন রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. ফরমান আলীসহ অন্য কারা কর্মকর্তারাও রয়েছেন ভেতরে।
বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছে কারাফটকসহ আশপাশে, সঙ্গে রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও। কারাগারের প্রধান ফটকে একটি আর্চ ওয়ে বসানো হয়।
এদিকে, জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবে শেরপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন র্যাব এবং জেলা সদরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে থেকে যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
কামারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি বাজিতখিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সদস্যরা ইতোমধ্যেই অবস্থান নিয়েছে।
র্যাব ১৪ কমান্ডার মো. আনিসুজ্জামান জানিয়েছেন, বিকেল থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত ৪ প্লাটুন র্যাব বাজিতখিলা ইউনিয়নসহ জেলা সদরে টহল দেবে। যদি কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করে তাহলে র্যাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম বলেন, সবাই জানে কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের পর কিভাবে জানাজা ও দাফন হয়েছে। কাজেই রায় কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে জেলার প্রতিটি উপজেলা সদরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেবে। কামারুজ্জামানের দাফন চলাকালে সাংবাদিকসহ কাউকেই ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবেনা। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার বাইরে অন্য কিছু করতে দেওয়া হবেনা। দাফনের পরও পুলিশ ওই স্থানে অবস্থান করবে।