এবার ভাঙছে চট্টগ্রাম বিভাগও
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৫:৩১,অপরাহ্ন ২৬ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
জনকল্যাণ ও প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে এবার চট্টগ্রাম বিভাগও ভাঙছে। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে একটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠনের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁঞা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিভাগকে ভাগ করে, বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল নিয়ে একটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে ভাগ করে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে আরেকটি বিভাগ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (নিকার)। মন্ত্রিসভায় সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের প্রয়াণে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, তিনি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। ২০১৩ সালে তার ইচ্ছায় বহু বাংলাদেশিকে বৈধতা দেয়া হয়। সচিব জানান, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সৌদি বাদশাহর মৃত্যুতে শোক জানাতে সৌদি আরব গেছেন। তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগ করার জন্য এর আগে যে ধরনের অনুশাসন দেয়া হয়েছিল ময়মনসিংহসহ অন্য দুই বিভাগ করার জন্য সেই ধরনের অনুশাসন দেয়া হয়েছে।
এর কার্যক্রম গ্রহণ করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নিকারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে তারা। এদিকে, মন্ত্রিসভা চা আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আইনটি প্রণীত হয়েছিল এরশাদের সামরিক শাসনের আমলে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনটিকে বাংলায় হালনাগাদ করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আজ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন ৬ মাস, সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটিও সামরিক শাসন আমলে করা হয়েছিল। হালনাগাদ করে তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। আইনটিতে শ্রমিকদের জন্য অর্থ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা চা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হবে। বিশেষ করে তাদের সন্তানের লেখাপড়া, বিয়ে ও দাফনের কাজে ব্যয় হবে।