ঈদগাঁওয়ে জবর দখল করে বসত ঘর নির্মাণ : হামলায় আহত ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৬:২২,অপরাহ্ন ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ে বসত ভিটার সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার ৩ সপ্তাহ পর ফের জবর দখল করে বসত ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহের ঘোনার মোহাম্মদ হোছনের বসত ভিটায় ঘটে এ ঘটনা। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলা সহ আহত হয়েছে ৪ জন। আহতরা হলেন মোহাম্মদ হোছনের কন্যা শাহানা (২৮), আকলিমা (২৫), শফিকা (২২) ও খালেদা (২০)। তাদেরকে ঈদগাঁও সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত আকলিমার অবস্থা আশংকাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানিয়েছেন। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে বর্ণিত ইউনিয়নের মেহের ঘোনার মৃত হাজী অজি উল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হোছন ১৯৭৪/৭৫ সালে তৎকালীন এডিসি (রাজস্ব) ঈদগাঁও মাছুয়াখালী মৌজার ১ একর জমির বন্দোবস্তি নেন। পরবর্তীতে সেখানে তিনি স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন। মোট জমি থেকে তিনি ৩০ শতক জমি একই এলাকার হায়দার আলীর পূত্র বদিউল আলমকে বিক্রি করেন। ক্রয়কৃত উক্ত জমিতে তিনি পাকা সিমানা দেওয়াল নির্মাণ করেন স¤প্রতি। কতিপয় দুর্বৃত্ত ১৫/২০ হাত দৈর্ঘ্য পাকা দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলার পর গতকাল শুক্রবার সকালে জবর দখল করে বসত ঘর নির্মাণ করেন। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মোহাম্মদ হোছনের ৪ কন্যাকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মোহাম্মদ হোছনের অভিযোগ দেয়াল ভাঙ্গার পর উক্ত ভিটাবাড়ি দখল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এডিসি (রাজস্ব) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অজুহাতে বিবাদী পক্ষ ভাংচুর ও বসত বাড়ি নির্মানের ঘটনা ঘটায় বলে তার দাবী। এদিকে দেয়াল ভাংচুরের ঘটনায় জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে গত ৪ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া মৃত হাজী আমির হোছাইনের পুত্র কামাল আহমদ ও এহেছান উল্লাহ একই এলাকার বদিউর রহমানের পুত্র হেলাল উদ্দিন ও ছৈয়দ আহমদের পুত্র মোতাহের আহমদ। বর্তমানে মামলাটি ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মুর্শেদ আলম তদন্ত করছেন। ভুক্তভোগীরা ঘটনাটির সুষ্ট তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা দানে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।