নিউজ ডেস্ক:: জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে এই সভা শুরু হয়। সভায় দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরআন তিলাওয়াত করেন কৃষক লীগের সভাপতি শাহ নিজাম উদ্দিন, গীতা পাঠ করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট গোপাল বৈদ্য। সভার সিলেট আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এদিকে আজই নির্ধারিত হতে পারে সম্মেলনের দিনক্ষণ এমনটি জানিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একটি সুত্র। তবে এ নিয়ে স্পষ্ট কোন ধারনা নেই সিলেট আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের। তবে বিতর্কিতদের যারা দলে এনেছেন, তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। মঙ্গলবার সুনামগঞ্জে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
এছাড়াও প্রতিনিধি সভায় সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন গেলো উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সকল বিদ্রোহীদের সভাস্থল থেকে সম্মানের সাথে কেটে পড়ারও নির্দেশ দেন। মোট কথা দলীয় এই কঠোর অবস্থানের পর ত্যাগী নেতাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এই সিদ্বান্তকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে দলীয়ভাবে কঠোর মনোভাব নিয়ে আজ সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি পৃথক সভা। জেলা ও মহানগরের পৃথক দুটি সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগ দিবেন। সুনামগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃঢ়মনোভাবের পর সিলেটে বিতর্কিতদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উৎকণ্ঠা। বিশেষ করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যারা বিগত দিনে টেন্ডার, চাঁদাবাজি এবং বিরামহীন দখল বাণিজ্যের মাধ্যমে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেছেন-তাদের বিরুদ্ধে এবার একশনে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা দলীয় এই অবস্থানকে অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়ে দলের ভাবমূর্তি সর্বোপরি শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতিকে বিতর্কের বাইরে রাখতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ বলেন, যে সমস্ত লোক অন্য দল থেকে এসে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চায় বা যোগদান করেছেন তাদের ব্যপারে আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। মানবতাবিরোধী, যুদ্ধপরাধীদেরকে দলে নেয়ার বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যদি কোনো কোনো জয়াগায় এধরনের ভাইরাস দলে নেয়া হয়েছে আমরা তদন্ত করে তাদের তালিকা করছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এসমস্ত বিতর্কিত ব্যক্তিদেরকে যিনি দলে প্রবেশ করিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ড. জয়া সেনগুপ্তা, শামীমা আক্তার খানম ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।