আম আদমিতে ভাঙনের সুর
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫১:১৩,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আম আদমি পার্টি (এএপি) থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এএপি নেতা সঞ্জয় সিং নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন। আগামী বুধবার দলের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসছে। এর মধ্যেই দলটিতে বড় ধরনের বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি এএপির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণসংক্রান্ত কমিটির সদস্য যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষাণ দলের কার্যক্রমের সমালোচনা করেন এবং পুর্নগঠনের আহ্বান জানান। এ বিষয়ে দলের ভেতরে দুটি পক্ষের ভেতর চিঠি চালাচালির বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। একই সঙ্গে গোপনে ফোন রেকর্ডে ভূষাণের এএপি–বিরোধী অবস্থান প্রকাশিত হয়েছে। এরপরই যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষাণকে দল থেকে বহিস্কারের গুঞ্জন ওঠে।
এএপির দিল্লি সচিব দিলিপ পান্ডের লেখা একটি চিঠিতে দলকে দুর্বল করতে যোগেন্দ্র যাদব , প্রশান্ত ভূষাণ ও শান্তি ভূষান কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এতে বলা হয়, তারা কেজরিওয়ালের পরিবর্তে যাদবকে দলের প্রধান করার চেষ্টা করছেন।
এক টুইটার বার্তা এএপি নেতা আশুতোষও দলের ভেতরে বিভক্তির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এএপির ভেতরে সিদ্ধান্ত সংঘাত। এটা অতি বামদের সঙ্গে সিদ্ধান্ত সংঘাত, যাদের দাবি কাশ্মিরে গণভোট এবং প্রায়োগিক কল্যানমূলক রাজনীতির পক্ষে অবস্থান।’
প্রশান্ত ভূষাণ সোমবার বার্তা সংস্থা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। আমরা দলের ভেতরে পদ পাওয়ার জন্য লালায়িত নই।’
এএপির আরেক নেতা সঞ্জয় সিং সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কিছু লোক আমাদের দল নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করছে। শীর্ষ নেতারা কেজরিওয়ালকে টার্গেট করলে এএপি কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা হবে।’
২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এএপি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে দলটি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে এই দল দিল্লিতে সরকার গঠন করে। মাত্র ৪৯ দিন ক্ষমতায় থেকে পদত্যাগ করেনে কেজিরিওয়াল। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিই পেয়েছে এএপি।