আদর্শ ঢাকা গড়ার প্রত্যয় মেয়রদের
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৫:২০,অপরাহ্ন ১৭ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা, নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত, জনকল্যাণমূলক ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা। এ ছাড়া ঢাকাকে মাদকমুক্ত, যানজটমুক্ত, ভেজাল খাবারমুক্ত একটি আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-১ এ ইম্যানুয়েলস ব্যাংকুয়েট হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও ‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ)’-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থীরা এসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় আনিসুল হক, তাবিথ আউয়াল, মাহী বি চৌধুরী, জোনায়েদ সাকী, নাদের চৌধুরীসহ ১২ জন মেয়র প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। তারপর মেয়র প্রার্থীরা উপস্থিত ভোটারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং নিজ নিজ বক্তব্যে সিটি করপোরেশনকে ঘিরে তাদের প্রত্যাশা ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের আরেকটি অনুপ্রেরণামূলক দিক ছিল ভোটারদের শপথ গ্রহণ। ভোট প্রদানকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীর স্বপক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন উপস্থিত ভোটাররা।
ভোটাররা অঙ্গীকার করেন, ‘আমরা অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অথবা অন্ধ আবেগের বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করব না। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মিথ্যাচারী, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ঋণ খেলাপী, বিল খেলাপী, ধর্মব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, কালোটাকার মালিক অর্থাৎ কোনো অসৎ, অযোগ্য ও গণবিরোধী ব্যক্তিকে ভোট দেব না।’
অনুষ্ঠানে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন পর ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধি দেখতে চায় যারা নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকবেন। তিনি আরো বলেন, নাগরিকরা হলো দেশের মালিক। তাই নাগরিকদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার আগে তাদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে তাদের ভোট দেয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে ১২ জন মেয়র প্রার্থীসহ সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, নাসফ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার চার শতাধিক ভোটার উপস্থিত ছিলেন।