‘অর্থ পাচারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১৯:০৩,অপরাহ্ন ২৪ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা পাচার হচ্ছে হুণ্ডিও রেমিটেন্সের মাধ্যমে। উন্নয়নশীল ৮টি দেশের মধ্যে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ছোট হল রুমে ইক্যুইটি এণ্ড জাস্টিস ওয়ারর্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উন্নয়ন বিনিয়োগও রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক অর্থ পাচার বন্ধ করতে হবে, শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইউএনডিপির এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ি, স্বাধীনতার পর গত চার দশকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ লাক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। যা সাম্প্রতিক বাজেটের দেড়গুণের সমান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন বিশ্লেষণে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২০হাজার কোটি টাকা হুণ্ডির মাধ্যমে, ১০-১৬ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফার প্রাইজিং (কম মূল্যে আমদানি মূল্য দেখানো) এবং অন্যান্য অবৈধ উপায়ে প্রায় ৫হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ি দেশ থেকে দেশের বাইরে ৫হাজার ডলারের বেশি অর্থ টাকা পাঠানো যায় না, চিকিৎসা-শিক্ষা ব্যয়ের জন্য বিদেশে টাকা পাঠাতে গেলে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়, সেখানে এতো টাকা পাচার হয় কি করে ?
বক্তারা আরও বলেন, বেশের প্রচলিত মানি লণ্ডারিং প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধে বাংলাদেশ সহ ১৪৭টি দেশ আর্ন্তজাতিক সংন্থা ‘‘এগমন্ট গ্রু’’ এর সাথে জুলাই ২০১৩ এ চুক্তি সম্পাদন করায় এই পাচার করা অর্থের তথ্য পাওয়া সম্ভব বলেও জানান।
আলোচকরা সরকারের প্রতি কিছু দাবিও তুলে ধরেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব ধারি লোকদের বিদেশে সম্পদও ব্যাংক একাউন্ট থাকলে ফি-বছর বিবরণী তাকে বাংলাদেশকে দিতে হবে; যে সকল লোক বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে, তার অর্থনৈতিক তথ্য পরীক্ষা করে শ্বেত পত্র প্রদান করতে হবে; সুইজারল্যাণ্ডসহ বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যাংক লেনদেনের স্বচ্ছতার উপর আন্ত-দেশীয় চুক্তি করতে হবে সহ আরো কতিপয় দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইক্যুইটি এণ্ড জাস্টিস ওয়ারর্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন।