বাংলাদেশিদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নিচ্ছে কুয়েতের দূতাবাস
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫১:৩৮,অপরাহ্ন ০৩ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সৌদি সামরিক অভিযান শুরুর পর ইয়েমেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি উদ্ধারের পদক্ষেপ নিচ্ছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার ওই দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা ইয়েমেনের প্রতিবেশী দেশ জিবুতির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাংলাদেশিদের উদ্ধারে ভারত ও অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইয়েমেনের শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলা চলছে। তবে রাজধানী সানা আর বেশ কয়েকটি শহর এখনও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা এডেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল করে নিয়েছে বলেও জানা গেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ইয়েমেন ছেড়ে যেতে শুরু করলেও বাংলাদেশি নাগরিকরা এখনও আটকে আছেন। ইয়েমেনে বাংলাদেশের কোনও দূতাবাস না থাকায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না। কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেই তাদের বিষয়গুলো দেখাশোনা করা হচ্ছে।
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. আসহাব উদ্দিনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দূতাবাসের একটি দল জিবুতি গেছেন। যেখান থেকে তারা পুরো বিষয়টি সমন্বয় করবেন। এখন পর্যন্ত তারা সানা ও এডেন মিলিয়ে প্রায় ৪শ’ বাংলাদেশির তালিকা করেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত বা চীনকে অনুরোধ করে তাদের বিমান বা জাহাজে করে বাংলাদেশিদের সরিয়ে আনতে তারা কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকেও জাহাজ বা বিমানে তাদের আনার চেষ্টা করা হবে। ইয়েমেনে এখনও কতজন বাংলাদেশি আটকে রয়েছেন তা নিয়ে দুইরকম তথ্য পাওয়ার কথা জানায় বিবিসি। কুয়েত দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি হবে না। তবে ইয়েমেনের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, সেখানে বৈধ অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা দশ হাজারের বেশি হবে।
সানা ও অন্য শহরগুলোতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির বাংলাদেশ অফিসের মুখপাত্র অনিন্দ্য দত্ত বলছেন, তারা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তার অনুরোধ পেয়েছেন। আইওএমের একাধিক অফিস বিষয়টি সমন্বয় করছে। আটকে পড়া নাগরিকদের কোন পদ্ধতিতে বের করে আনা যায়, সেটি তারা বিবেচনা করছেন। কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়েমেনে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে তারা প্রবাসীদের নিয়ে একটি সেল তৈরির চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুদিন ধরে তাদের সঙ্গে টেলিফোন যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। তবে দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেনে নতুন দফার সংঘর্ষ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চললেও কোনও বাংলাদেশির হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র : বিবিসি