‘কামারুজ্জামানের সময় ৩-৪ ঘণ্টা’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪১:৫৮,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য সাতদিন সময় পাওয়ার দাবি নাকচ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কামারুজ্জামানের প্রাণভিক্ষার ‘যৌক্তিক সময় ৩-৪ ঘণ্টা’ বলে জানান আইনমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে তার আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য কামারুজ্জামান সাতদিন সময় পাবেন। তিনি দাবি করেন, রায়ের কোথাও লেখা নেই জেলকোড মানা হবে না। জেলকোড অনুসারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রায় পড়ে শোনানোর ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে হয়।
কামারুজ্জামানের আইনজীবীর এ দাবি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাদের মোল্লার আপিলের রায় অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে না। সেহেতু কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য সাতদিন সময় পাবেন না।’ কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা আরও জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে ভাবার জন্য সময় চেয়েছেন কামারুজ্জামান। সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। তবে তিনি কবে সিদ্ধান্ত জানাবেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। কারাগারে কামারুজ্জামানকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শোনানোর পর তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ আজ সকাল ১১টায় তার সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাতের অনুমতি দেয়।
কামারুজ্জামানের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুর্নবিবেচনা) আবেদন খারিজ করে ৬ এপ্রিল রায় দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। গতকাল ৮ এপ্রিল ওই রায়ে স্বাক্ষর করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও বেঞ্চের তিন বিচারপতি। অপর তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। রিভিউ খারিজ করে দেওয়া রায়ের কপি বুধবার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা। পরে বিকালে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আফতাব-উজ-জামান রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় বিকেলে পৌঁছে দেন।