আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে ১.৫ শতাংশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০১:০২,অপরাহ্ন ২৩ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে ১.৫ শতাংশ। আজ সোমবার এই দাম কমে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তার ওপর তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সিদ্ধান্তের সাথে হাত মিলিয়েছে অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। অন্যদিকে তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে চীন। ফলে বাজারে তেলের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
এক খবরে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রেন্ট ক্রুড (উন্নত মানের অপরিশোধিত তেলের) দাম হওয়ার কথা ছিল ব্যারেল প্রতি ৫৪.৩৬ মার্কিন ডলার। কিন্তু তা ৯৬ সেন্ট কমে যায়। অন্যদিকে ইউএস ডব্লিউটিআই নামের ক্রুড বা অপরিশোধিত তেল ব্যারেলে ১.০২ ডলার কমে বিক্রি হয় ৪৫.৫৫ ডলারে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তেলের অব্যাহত দরপতনের মধ্যেও উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওপেক। আর এর সাথে যোগ হয়েছে তেল উৎপাদনে বিশ্বে পাওয়ার প্লেয়ার বলে খ্যাত সৌদি আরব।
এদিকে বিশ্বের অন্যতম তেল আমদানিকারক দেশ চীনও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে তাদের আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। ফলে উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা না বাড়ায় কমেই চলেছে তেলের দাম। গত জুন মাস হতে বাজারে তেলের দাম কমে আসে অর্ধেকে।
সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী আলি আল নাইমি জানিয়েছেন, তেলের দরপতন হলেও তারা একা উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে রাজি নয়। তিনি বলেন, আমরা আবারও বলছি, তেলের দাম বাজারই ঠিক করে দেবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে চীন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইরান থেকে ৩.৭ শতাংশ তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। এই সময়ে দেশটি ২.০৪ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। অথচ গত বছর সস্তা দামে দেশটি বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে মজুদ রাখে। যার ফলে এই সময়ে এসে তাদের আমদানি আদেশ কমে গেছে।
ব্রিটেনের অন্যতম বিনিয়োগ ব্যাংক বারক্লেস জানিয়েছে, ওপেক যদি তাদের বর্তমান উৎপাদন চালু রাখে বা তাদের দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা ৩০ মিলিয়ন ব্যারেলের কাছাকাছি উৎপাদন করে। তবে তেলের বাজারে দিনে ০.৯ থেকে ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল উদ্বৃত্ত জমা হবে।