বরিশালের উজিরপুরে ১০ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার বড়কোঠা ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। বুধবার ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈমকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ভুক্তভোগী শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজন জালাল সিকদার জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ুয়া প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও তার ভাইয়ের মেয়ে মিলে পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে নাঈম নামে এক যুবক কৌশলে ভুক্তভোগী শিশুকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বাসায় ফেরার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের বিষয়টি বাড়ির লোকজন দেখলে তাকে প্রথমে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, তারা বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি। বরিশাল মেডিকেলে নেওয়ার পর বুঝতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডা. তাজমিরা নাসরিন বলেন, ‘শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা কিছুটা আশংকাজনক ছিল। তবে এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়ায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ বিষয়ে উজিরপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন প্রিয়.কম-কে বলেন, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একই এলাকার বাসিন্দা সুলতান সিকদারের ছেলে অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করা হয়েছে।