নিউজ ডেস্ক::আমি একটা মার্কেটে গিয়েছিলাম কাজে, তখন আমকে দেখে এক লোক বলছে আপা আর তো পারিনা, আমি বলেছিলাম তো না পারলে রাস্তায় নামছেন না কেন। তিনি বললেন রাস্তায় নামলে যে গুলি করে।
এই যে গুলি করার সংস্কৃতি রাজনীতিতে ঢুকে গেছে, কোন ঠাসা করে রেখেছে, সকল কিছুতে অনুমতি নেওয়া লাগে। অনুমতির রাজনীতি হয়ে গিয়েছে। এতো কিছু কিন্তু আগে কখনো ছিলোনা। বলে দাবি করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিনা ফারহান।
গত (০৮ মার্চ) বৃহস্পতিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এই কথা বলেন।
রুমিনা ফারহান বলেন, যদি ১৯৯০ সালের পূর্বেও যখন পাকিস্তান আমল ছিল। তখনও এই ধরনের অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন প্রতিদিন গুম হওয়া। শুধু মাত্র ২০১৭ সালে গুম হওয়ার পরিসংখ্যান বলছে ৮০ জনের বেশী। আর যদি গত এক দশকের পরিসংখ্যান বলি সেখানে ৫০০ জনের ও বেশি।
বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ কিছু বলতে ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়, নিজের চিন্তার কথা বলতে ভয় পায়। আমরা আন্দোলন করেছি ৫৭ ধারার কালো আইন নিয়ে। যেখানে সাংবাদিকরা সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা লিখতে পারবেনা, তাদের নিজেদের ইচ্ছে মত সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেনা।
তিনি বলেন, ১৬৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতার অবস্থান অবস্থান ১৪৬। তার মানে অনেক নিচের দিকে বাংলাদেশের অবস্থান। নেপাল, ভুটান এমনকি পাকিস্তান যে দেশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ভাবি আমরা সেই দেশের অবস্থাও বাংলাদেশের চেয়ে ভালো।
টকশোতে আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভুঁইয়া সাবেক সহ-সম্পাদক , কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা এতো খারাপ হয়নি যে পাকিস্তানের সাথে তুলনা দিতে হবে। পাকিস্তানে প্রতিদিন ড্রোন হামলা হয়। বাংলাদেশে মনে হয় প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি তফাৎ করতে হয় তাহলে ভালোর সাথে করি খারাপের সাথে কেন করবো। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার সাথে তুলনা করেন। আমরা নতুনরা যারা রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত হচ্ছি তারা একটু সচেতন হই।
আমরা যদি এতো বাজে গল্প গুলো যদি প্রকাশ করি তাহলে অন্যান্য দেশের কাছে বাংলাদেশ অনেক ছোট হয়ে যাবে। আওয়ামীলীগের যে জায়গা গুলো ব্যর্থতা আছে, তার চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানও আছে। যে পদ্মা সেতু নিয়ে কতো আলোচনা হয়েছে সেই পদ্মা সেতু আজ নিজেদের টাকা দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে এবং পরিপূর্ণ হবে।